ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ১নার্সিং সুপার ভাইজার, ১৮জন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৪জন মিডওয়াইফসহ মোট ২৩জন নার্সিং কর্মকর্তার পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করা হচ্ছে না। দীর্ঘ ৮মাস যাবৎ বেতন ভাতাদি বন্ধ থাকায় নার্সিং কর্মকর্তাগণ পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আসন্ন ঈদে ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে না পারায় তাদের পরিবারের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই। সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার শিরিয়া বেগম জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ বেতন-ভাতাদি বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, সাংসারিক ও চিকিৎসা ব্যয় মেটানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে এবং পুরাতন জামা কাপড় দিয়েই ছেলেমেয়েদের উদযাপন করতে হবে এবারের ঈদ। সিনিয়র স্টাফ নার্স সাহেদা বেগম জানান, তার ২টি মেয়ে মেডিকেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বেতন ভাতাদি বন্ধ থাকায় তাদের পড়াশোনার খরচ না দিতে পারায় লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার পথে। এর মধ্যে অনেকে বাসাভাড়া ও ঋণের বোঝা মাথায় থাকলেও তা পরিশোধ করতে না পারায় নানাবিধ সমস্যা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিক উল্লাহ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান নার্সিং কর্মকর্তাগণের মাসিক বিল উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করা হচ্ছে এবং সমস্যার বিষয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিকবার পত্র দেওয়াসহ ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করা হলেও অদ্যাবধি তার কোন সমাধান হয় নাই। উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আইবাস সফটওয়ারে অফিস আইডি ও প্রাতিষ্ঠানিক কোড না থাকায় নার্সিং কর্মকর্তাগণের বিল পাশ করা যাচ্ছে না। নার্সিং কর্মকর্তাগণ ইদকে সামনে রেখে জরুরী ভিত্তিতে বেতন ভাতাদি পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিআকর্ষণ করছে।