কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কাশিম বাজার এলাকা থেকে একটি বিরল প্রজাতির প্রাণি বনরুই উদ্ধার করেছে কচাকাটা থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে থানার বলদিয়া ইউনিয়নের কাশিমবাজার এলাকার আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে এ বিরল প্রজাতির প্রাণিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার প্রাণীটি বনবিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি।
এলাকাবাসী জানায়, কাশিমবাজার ছনবান্দা গ্রামের মৃত মনছের আলীর সন্তান আব্দুর রশিদ প্রতারক চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি সীমানা পিলার, পুরাতন কয়েনসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রতারণার উদ্দেশে বনরুইটিকে মহামূল্যবান প্রাণি দেখিয়ে বিক্রির উদ্দেশে ভারত থেকে এনে থাকতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রশিদ সীমানা পিলার, পুরাতন কয়েন ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতারণা করে এলাকায় দুটি এবং রংপুরের মন্ডল পাড়ায় একটি বাড়ি করেছে। ওই এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, সামান্য কাঠ ব্যাবসায়ী থেকে রশিদ এখন কোটিপতি। কীভাবে এত সম্পদের মালিক বনে গেল আমাদের জানা নেই। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ জানান, বনরুইটি একই ইউনিয়নের খুটামার গ্রামের আব্দুর রহিম, আব্দুল করিম, মোখলেছুর রহমানসহ ৫-৬জন মিলে ভারতের আসাম থেকে নিয়ে আসে এবং রশিদের মাধ্যমে বিক্রির উদ্দেশে তার বাড়িতে রাখে। গতকাল সন্ধায় আমার উপস্থিতিতে পুলিশ রশিদের ঘরের মেঝো থেকে প্রাণিটিকে উদ্ধার করে। তবে ইউপি সদস্য রাজুকে রশিদ জানিয়েছে তার ছেলের রোগের ঔষধ তৈরীতে বনরুইটিকে আনিয়েছেন তিনি।
কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক খলিল জানান, বনরুইটিকে বিরল বন্য প্রাণী হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে এবং নাগেশ্বরী উপজেলা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা বন কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান শাহীন জানান, বনরুইটি সুস্থ আছে, আজকেই রংপুর বিভাগীয় বনকর্মতার অফিসে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।