নাটোরের বড়াইগ্রামে অসুস্থতার যন্ত্রণা সইতে না পেরে এলিনা খাতুন নামে এক সেহরী রান্নার সময় গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার মহিষভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এলিনা খাতুন মহিষভাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানান, দুই বছর আগে ঘরের মেঝেতে পড়ে গিয়ে এলিনা খাতুনের একটি হাত ভেঙ্গে যায়। চার বার অপারেশন করেও তার হাতটি সেরে উঠেনি বরং তার হাতে প্রচন্ড যন্ত্রণা হতো। সম্প্রতি চিকিৎসক তার হাতে আবারও অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু দীর্ষদিন চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় মানসিক হতাশা ও অসুস্থতার যন্ত্রণা সইতে না পেরে এলিনা খাতুন শনিবার সেহরির আগ মূহূর্তে রান্না ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস নেন। পরে স্বজনেরা বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল হক জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।