দেশের সেরা অনন্য স্বাদের টসটসে লাল দিনাজপুরী লিচু এখন বাজারে। আর সবার মন জয় করা দিনাজপুরী লিচু মানেই অন্যরকম মিষ্টি ও রসালো স্বাদ। দিনাজপুরী লিচু যার নাম শুনলে অনেকে ঠিক থাকতে পারে না। গোটা দেশে যার চাহিদা ও বাজার রয়েছে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশী লিচু এখন গাছে গাছে। তবে রমজানে বাজারে আনতে চাই না অনেক লিচু ব্যবসায়ী।
দিনাজপুরের বাজারে এখন মাদ্রাজী লিচু উঠেছে। যদিও লিচু প্রকৃতভাবে পাকেনি তারপরেও বাজারে কদরের কমতি নেই। সময়ের আগে বাজারে আসা লিচুর স্বাদ তেমন পাওয়া না গেলেও চাহিদা কম নাই।
লিচু পল্লী বলে খ্যাত মাশিমপুরের গোলাম মোস্তফাসহ চাষীরা জানায়, রমজান মাসের শেষের দিকে প্রত্যেব জাতের লিচু বাজারে নামবে।
মাসিমপুর এলাকার মোসাদ্দেক জানায়, বাগানের গাছে থোকায় থোকায় লিচুতে আলতো সিদুর রঙে রঙিন হয়ে ডালে ডালে ঝুলছে। ভাল দাম পাওয়ার জন্য রমজানের কারণে লিচু বাজারে নামাতে দেরী করছে ব্যবসায়ীরা।
দিনাজপুর শহরের কালিতলার লিচু বিক্রেতা আলামিন জানায়, বাজারে মাদ্রাজী প্রতি শত লিচুর মুল্য ২২০ থেকে ২৫০টাকা। যদিও বেদনা ও চাইনা থ্রিসহ অন্যান্য জাতের লিচু নামেনি। লিচু বাজারে কেনাবেচা শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, দিনাজপুরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, দিনাজপুর জেলায় ৫১০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন লিচুর আবাদ হয়েছে। এ থেকে এবার ২৪ হাজার মে.টন লিচু পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ জানায়, দিনাজপুর জেলায় ছোট-বড় নিয়ে প্রায় ৫ হাজার ৪১৮টি লিচুর বাগান রয়েছে। বাগান ছাড়াও কিছু সংখ্যক বাড়ী, বাড়ী সংলগ্ন ভিটা জমিতে ২/৪টি করে লিচু গাছ রয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়। দিন দিন লিচুর ফলন এবং দাম ভাল পাওয়ায় এ চাষের জমি বাড়ছে। বাগান ছাড়াও কিছু সংখ্যক বাড়ী, বাড়ী সংলগ্ন ভিটা জমিতে ২/৪টি করে লিচু গাছ রয়েছে।
উল্লেখ্য,এক দশক যাবত বৃহত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় অবিশ্বাস্য গতিতে লিচুর চাষাবাদ বাড়ছে। মৌসুমে রাজধানী থেকে আগত লিচু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বাগান থেকে সরাসরি প্রতিদিন ২৫/৩০ লাখ লিচু কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। গত বছর যেখানে ১শ বেদানা লিচু ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়, সেখানে সমসংখ্যক চায়না-থ্রি লিচু ৭০০/৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।