নীলফামারীর সৈয়দপুরে কুন্দল বিল জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্ত করলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো: রাশেদুল হক। গত ২৫ মে উপজেলার সৈয়দপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক সংলগ্ন কুন্দল বিলের মৎস্য অভয়াশ্রমের পাড়ে এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক শাহ ইমাম জাফর সাদেক, বিভাগীয় প্রধান আমিনুজ্জামান চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, নীলফামারী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান প্রমুখ। সৈয়দপুর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পোনামাছ অবমুক্ত করাসহ বিলের পাড়ে বৃক্ষ রোপন ও সুবিধাভোগী মৎস্যজীবীদের জন্য ‘জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সামাজিক সচেতনতা’ বিষয়ক ২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন সৈয়দপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সানী খান মজলিশ। সহযোগি হিসেবে ছিলেন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা খগেন্দ্র নাথ রায় ও ক্ষেত্র সহকারী আবদুল কাদের, দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন প্রতিনিধি দুলাল সরকার, দৈনিক দেশের পত্রের জেলা প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক নীলফামারী চিত্র পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক আবু সাইদ মো: রাশেদুল হক বলেন, কুন্দল বিলের বিশেষত্ব হলো এখানে বিলুপ্ত প্রায় ভেদা বা মেনু মাছের বংশ বিদ্যমান। যা এই অভয়াশ্রমের মাধ্যমে সংরক্ষণ করলে আগামীতে দেশব্যাপী এর প্রজনন করে এই মাছটি আবারও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। বর্তমান সরকার দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাঝের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী ভেদা মাছসহ বিলুপ্ত প্রায় অন্যান্য প্রজাতির মাঝের বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে এধরণের অভয়াশ্রম তৈরী করে সেগুলোতে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি। আশা করি ভেদা বা মেনু মাছ আগামীতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে এ অঞ্চলের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারবো। সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।