রমজান শেষ হতে আরও কিছুদিন বাঁকি থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে পোরশার বাজার গুলিতে বিভিন্ন জিনিস পত্র বেচা-কেনা জমে উঠেছে। উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখাগেছে, পূরুষ ও মহিলা ক্রেতারা কেনাকাটায় ব্যস্ত। গার্মেন্টস ও প্রশাধনির দোকান গুলিতে বেশী ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার পোরশা বাজারের পোরশা বস্ত্রালয়, সরাইগাছি বাজারের ভাই ভাই গার্মেন্টস, সততা বস্ত্রালয়, আব্দুল্লাহ বস্ত্রালয়, নাসিম গার্মেন্টস, নোচনাহার বাজারের মা বস্ত্রালয়, নিতপুর বাজারের সুমাইয়া গার্মেন্টস সহ শিশা বাজারের বিভিন্ন দোকান গুলিতে ক্রেতাদের বেশী ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তৈরী পোষাকের দোকান ভাই ভাই গার্মেন্টেসের মালিক দুলাল, আব্দুল্লাহ বস্ত্রালয়ের মালিক আব্দুল্লাহ, নাসিম গর্মেন্টেস’র মালিক নূরনবী ও সততা বস্ত্রালয়ের মালিক নূর আলম জানান, তাদের দোকানে ভাল বেচা কেনা হচ্ছে। তবে ঈদ উপলক্ষে যতটুকু হওয়ার কথা তার চেয়ে কম। যেহেতু ঈদের আরও কয়েকদিন বাঁকি আছে সেহেতু তাদের বেচা-কেনা আরও ভাল হবে বলে তারা মনে করছেন। বয়স্কদের পাঞ্জাবী, লুঙ্গি, মহিলাদের টাঙ্গাইলের শাড়ী ছাড়াও লেহেঙ্গা, টাপুরটুপুর, চাঁদমূখী ফ্রগ, গাহন, থ্রি-পিস, জিন্সের প্যান্ট, টি-শার্ট, শিশুদের পাগলু, জিপ্সি, স্কাট সহ ছিট কাপড় বেশী বিক্রি হচ্ছে বলেও তারা জানান। কস্মেটিকস্ ব্যবসায়ী কাওছার আলী ও এন্তাজুল হক শাহ্ জানান, তাদের দোকনে সিটি গোল্ডের চুরি, গলার মালা, কানের দুল, মেহেদী বেশী বিক্রি হচ্ছে। সরাইগাছি বাজারের ক্রেতা মান্নান কাজী, আনিছুর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, আমেনা বেগমের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতিটি জিনিস পত্রের দাম বেশী হওয়ায় মানুষ হতাসা প্রকাশ করছে। তারপরেও ঈদে নতুন পোশাক পরার লক্ষ্যে কেনা কাঁটা করতে হচ্ছে বলে তারা জানান। তবে অনেক ক্রেতা ধানের দামের চেয়ে অন্য জিনিস পত্রের দাম বেশী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে অনন্যা টেইলার্স এর মালিক মোস্তাফিজুর রহমান মিলন ও সুমাইয়া টেইলার্সের মালিক আল মামুনের সাথে কথা বললে তারা গত বছরের চেয়ে এবারে বেশী কাপড় সেলাই হচ্ছে বলে জানান। তারা জানান, তাদের টেইলার্সে এবারে সেলাইয়ের জন্য বেশী কাপড় এসেছে। তবে এবারের ঈদে ব্যবসা মোটামুটি ভাল হবে বলে জানান।