ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে শিখা খাতুন (৪৫) নামে এক নারী পাওনাদারের কান ছিড়ে নিয়েছে প্রতিবেশী দেনাদার। পরে স্থানীয় লোকজন শিখা খাতুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার বিকালে উপজেলার গফরগাঁও গ্রামে। এ ঘটনায় শিখা খাতুন গতকাল রোববার দেনাদারের বিরুদ্ধে গফরগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের গফরগাঁও গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে আবদুল বাতেন প্রতিবেশী শিখা খাতুনের মেয়ে আকলিমার কাছ থেকে প্রায় ৫মাস পূর্বে ১৫দিনের কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা ঋণ নেয়। কিন্তু আবদুল বাতেন যথা সময়ে টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। এ অবস্থায় শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শিখা খাতুন তার মেয়ে আকলিমাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে বিদ্যালয় মাঠে দেনাদার আবদুল বাতেনকে পেয়ে পাওনা টাকা চাইলে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দেনাদার আবদুল বাতেন ও তার আত্মীয়আব্দুর রশিদ তাদের মারধর করেন। এ সময় শিখা খাতুনের কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে কানের লতি ছিড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে শিখা খাতুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে ভর্তি করে।
গফরগাঁও থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।