ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের টিলারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ পুরাতন একতালা ভবন গত ক’দিন ধরে মেরামত কাজ চলছে। ওই স্কুল ভবনের একদিকে ধ্বসে পড়া দেয়াল ও ছাদের তলদেশে খুলে পড়া আস্তর মেরামত করা হচ্ছে সাথে সাথে অন্য পাশের আস্তর পুরাতন আস্তর ধ্বসে পড়ছে বলে মেরামত কাজেরত দালান মিস্ত্রীরা জানিয়েছেন। পুরো স্কুল ভবনটি অকেজো হয়ে পড়ার কারণে চলমান মেরামত ব্যায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা কোনো কাজে আসছে না বলে জানা গেছে।
রোববার বিকেলে ওই বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার সহ উপজেলা এলজিইডিকে স্কুল ভবনটি ভেঙে পূনঃনির্মানের জন্য আমি দফায় দফায় আবেদন করেছি। কিন্তু তারা অনুপোযোগী বিদ্যালয় ভবনটি ক্ষুদ্র মেরামত কাজ করে চলেছেন যা কোনো কাজে আসছে না”। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয় ভবনটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন ভবনের আস্তর খুলে খুলে পড়ছে। এতে আকাশে একটু কালো মেঘ দেখলে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা বই খাতা নিয়ে বিদ্যালয় ভবন ধ্বসে পড়ার ভয়ে স্কুলের মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এ ছাড়া পুরাতন বিদ্যালয় ভবনে মাত্র তিনটি কক্ষের মধ্যে প্রথামিকের পাঁচটি শ্রেনী ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও তিনি জানান”। অবশ্য একই দিন উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্র জানান, “ ওই স্কুলটি পূনঃনির্মানের জন্য ৯৯ লাখ টাকা ব্যায় বরাদ্দ দেখিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠিয়েছি। ওই স্কুল ভবন নির্মান বরাদ্দ পাশ হওয়ার কাল বিলম্ব দেখে আপাতত ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে”।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয় ভবনের ভিতরে পাঁচজন দালান মিস্ত্রীমেরামত কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন। তারা দেয়ালে ও ছাদের তলদেশের খুলে পড়া আস্তর সিমেন্ট বালু দিয়ে মেরামত করতে না করতে শ্রেনী কক্ষের অন্য পাশের পুরাতন আস্তরগুলো খুলে খুলে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে ধ্বসে পড়া আস্তর ভবনের ক্ষত স্থানে মেরামতের জন্য মালামাল ছুড়ে মারার পরও টেমপারহীন বিল্ডিং বালু সিমেন্ট ধরে রাখতে পারছে না। এ সময় বিল্ডিং মেরামত কাজেরত দালান মিস্ত্রী মোঃ আলমগীর হোসেন জানায়, ভাই এখন আর ছবি উঠিয়ে কি করবেন, কয়েক মাসের মধ্যেই এ বিল্ডিং ধ্বসে বড় ধরনের অঘটন ঘটলে ছবি উঠিয়েন তখন সবার মাথায় টনক নড়বে”।