বিদিশা এরশাদকে এক নামেই সবাই চেনেন ও জানেন। তিনি আবারও জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে যাচ্ছেন। আর এমন খবরটি চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনেও ছড়িয়েছে। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চান। নেতা-কর্মীরা চাইলে তাদের আগ্রহের প্রতিও সম্মান জানাবেন তিনি। মুলত: জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করতেই ফের সংগঠনিক তৎপরতা শুরু করবেন। সংগঠনের চট্টগ্রামের এক শীর্ষ নেতা বিদিশার ওই মনোভাবের কথা গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন। একাধিক সূত্র জানায়, বিদিশা এরশাদ একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এরশাদের সহধর্মিনী থাকাবস্থায় বিদিশা জাতীয় পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। এ সময় অনেক রাজনীতিবিদদের নজর কাড়েন তিনি। জাতীয় পার্টির ভাবমূর্তি সারাবিশ্বে তুলে ধরতে মানচিত্র নামের একটি সংগঠন করে বিভিন্ন প্রচারণাও চালান তিনি। কিন্তু নানা যড়যন্ত্রের কারণে বিদিশা হঠাৎ ছিটকে পড়েন রাজনীতি থেকেই। সেই সময় গুঞ্জন ছিল পারিবারিক কলহ ও রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে রাজনীতি থেকে বিদিশা হারিয়ে যান।
তবে অতীতের এসব অপ্রিয় ঘটনা ও দুর্ঘটনা নিয়ে এখন খুব একটা ভাবছেন না বিদিশা। কেননা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখন জীবন সায়াহ্নে। এরশাদের শারীরিক অবস্থার কারণে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এখন নানাভাবে আন্দোলিত হচ্ছে। একাধিক প্রহসন নাটকের যবনিকা শেষে এরশাদ দলের ভবিষৎ কান্ডারি নির্বাচিত করেছেন। এরশাদের অবর্তমানে ছোট ভাই জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সাংগঠনিক নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। এমন ঘোষণার কারণে জিএম কাদের নতুন উদ্যোমে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন। মাঠে কাজ করছেন চাঙ্গাভাবে। ওদিকে দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অপর অংশটি চাইছেন ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হোন বিদিশা।
চট্টগ্রামের জাতীয় পার্টির আরেক নেতা জানান, জাতীয় পার্টির সাথে বিদিশার আত্মার সম্পর্ক ছিল। তা এখনো আছে। ফলে জাতীয় পার্টির প্রতি একটা টান যেমন অতীতে ছিল এবং ভবিষতেও থাকবে। এখন জাতীয় পার্টি ইয়াং জেনারেশনের। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এতোদিন সবাইকে আগলে রেখেছেন। এখন আমাদের সবার উচিত তাদেরকে আগলে রাখা। আগে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সদস্য ছিলেন বিদিশা। তখনকার সময় অভিযোগ ছিল- ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে তিনি রাজনীতির মাঠে টিকতে পারেননি। তবে এবার তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের আগ্রহ দেখানোর কারণে বিদিশা রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বলে জানাগেছে। দলীয় নেতাকর্মীরাও সেই সময়ের অপেক্ষায় আছেন। তবে চট্টগ্রাম মহানগরের দলীয় নেতাকর্মীরা মিডিয়ার সামনে উপর্যুক্ত বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ।