কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদী দখল-দুষণ বন্ধে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন । এই ঐতিহ্যবাহী নদীকে ‘গুরুত্ব দিয়ে রক্ষার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করায় কক্সবাজারের সচেতনমহলসহ সর্বসাধারণ দুদকের প্রতি সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন। এদিকে বুধবার দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি দল বাঁকখালী নদী পরিদর্শন করেছেন। দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রতন কুমারের নেতৃত্বে আসা ৫ সদস্যদের দলটি দুপুর ১২টায় নদীর কস্তুরাঘাট পয়েন্ট দিয়ে নেমে পেশকারপাড়াসহ আরো কিছু এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন। দুপুর ১২টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত দুদকের টিমটি নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন। দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রতন কুমার বলেন, কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা দুদকের নজরে এসেছে। এই সংবাদ গুলি পর্যাবেক্ষন ও যাচাই বাছাই করে দুদক এই নদীর অপ্রতিরোধ্য দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই উদ্যোগের প্রথম কার্যক্রম হিসেবে নদীটি পরিদর্শন করতে এসেছেন দুদক দল। এদিকে দুপুর ১২টার দিকে দুদকের এই দলটি শহরের কস্তুরাঘাটস্থ বাকঁখালীর বিভিন্ন পয়েন্টের প্রতিযোগিতা মূলক দখল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় ভূমিদস্যু কর্তৃক নদীর বিস্তর্ণ অংশ দখল, বর্জ্য ফেলে দূষণসহ নানা অসঙ্গতি পর্যবেক্ষণ করেন। দূষণের জন্য তারা পৌরসভার বর্জ্য ফেলাকে বেশি গুরুত্ত্বের সাথে নজরে নেন। পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ শেষে দুদক সহকারী পরিচালক রতন কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণের সত্যতা পেয়েছি। যেভাবে নদীটি দখল ও দূর্ষণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত গর্হিত এবং আইন বিরোধী। দখলবাজরা একটি নদীকে এভাবে কুক্ষিগত করতে পারে তা অবিশ^াস্য ঠেকেছে। তার সাথে ভয়ংকর হচ্ছে নদীর দূষণযজ্ঞ। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বর্জ্য ফেলাসহ নানাভাবে নদীকে দূষণ করে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে পৌরসভার বর্জ্য ফেলার বিষয়টি অত্যন্ত মারাত্মক ঠেকেছে। তা দেখে আমরা আঁৎকে উঠেছি। এই নদীর দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রতন কুমার বলেন, ‘বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণ রোধে দুদক ইতোমধ্যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তার অংশ হিসেবে পরিদর্শনে আসা। পরিদর্শন করে যে চিত্র আমরা পেয়েছি তা প্রতিবেদন আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অতি শিগগিরই নদীটির দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে দুদক। তিনি আরো বলেন, নদী দখলে যত বড় প্রভাবশালী থাকুকনা কেন কেউ ছাড় পাবেনা। অবৈধ দখল উচ্ছেদে দুদক কঠোর ভূমিকায় কাজ করবে।