ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের জেলাখানা থেকে পূর্বদিকের কামার ডাঙ্গী গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত এক হাজার চারশত মিটার এইচবিবি রাস্তা সদ্য নির্মানের পর পনের দিনের মধ্যে বিভিন্ন অংশে ধ্বস দেখা দিয়েছে। নি¤œমান ইট এবং অপর্যাপ্ত বালু দিয়ে রাস্তাটি গড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এতে চলতি অর্থ বছরে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাটি টেকসই হয় নাই বলে অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া নি¤œমান সামগ্রী ব্যবহারের কারেন আসন্ন বর্ষা মৌসুমের ভারী বর্ষন ও পদ্মা নদী পারে বানের পানির চাপে রাস্তাটির অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়বে বলেও অনেকে মনে করছেন।
শুক্রবার বিকেলে রাস্তাটিতে সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সদ্য নির্মিত উক্ত এইচবিবিকরন পুরো রাস্তাটি জুড়ে সারিবদ্ধ বিছানো ইটের ফাঁকে এবং উপরের অংশে বালু নেই। ফলে রাস্তার উপর চলমান কোনো যানবাহন নিয়ন্ত্রন রাখা কষ্টকর মনে হচ্ছে। গত ক’দিনের দফায় দফায় সামান্য বৃষ্টিতে বিভিন্ন অংশের ইট ধ্বসে রাস্তার ঢালে পড়ে রয়েছে। রাস্তা ঘেষে এক বসতি উপজেলা সদরে বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৮) জানায়, “ রাস্তাটি নির্মানের সময় নি¤œমান সামগ্রী ব্যবহার না করার জন্য আমরা অনেক আপত্তি করেছি। রাস্তায় ব্যবহৃত ইটের নিচে বালু না দিয়ে পার্শ্ববতী ফসলী মাঠের মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্ত জেলা শহরের প্রভাবশালী ঠিকাদার শিহাব কনস্ট্রাকশান এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী কাজে দায়িত্বরত উপ-প্রকৌশলী তানভীর আহাম্মেদ একই শহরের লোক হওয়ায় তারা আমাদের কথায় কোনো কর্ণপাত করেন নাই”। এ সময় রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী এক মোটসাইকেল চালক মোঃ লিয়াকত আলী লাভলু (৪০) বলেন, “ মাত্র ক’দিন ধরে নির্মিত এ রাস্তায় মোটরযান নিয়ে আসার পথে বিছানো ইটের নিচে ও ফাঁকে বালু না থাকায় দু’দফায় গাড়ী নিয়ে পড়ে গেছি। তিনি আরও জানান, রাস্তাতো গড়ে নাই, মানুষ মারার ফাঁদ তৈরী করেছে”।
এ ব্যপারে শুক্রবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শিহাব আহাম্মেদের সাথে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিপ করেন নাই। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী কাজে দায়িত্বরত উপ-প্রকৌশলী তানভীর আহাম্মেদ জানান, “ রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ হয়েছে সত্য কিন্ত আমাদের কাছে এখনো হ্যান্ড ওভার করা হয় নাই। কাজেই রাস্তাটি বুঝে নেওয়ার সময় আমরা অনিয়মগুলো সেরে নেবো”। আর উপজেলা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, “ এক হাজার চারশত মিটার এইচবিবি রাস্তার ওপরে পর্যাপ্ত বালু প্রদান ও ধ্বসে পড়া রাস্তা পূনঃনির্মান কাজ ওই ঠিকাদারকেই করতে হবে”।