ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সজল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় বিনোদন জগতে পা রাখেন। তবে অভিনেতা হিসেবে নয়, একজন উপস্থাপক হিসেবে। একুশে টেলিভিশনে দীর্ঘদিন ‘তাকদুম তাকদুম’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো, ওই অনুষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার ঘটনাটি মনে পড়লে এখনো সজল ভেবে পান না, কেন তিনি সেদিন অডিশনে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
স্মৃতি হাতড়ে সজল বলেন, ‘সে সময় লোকাল বাসে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেতাম। এত পরীক্ষা থাকত যে আমি বাসে পড়তে পড়তে ক্লাসে যেতাম। বাসে নানা রকমের মানুষ উঠত। কখনো কখনো দাঁড়িয়ে যেতে হতো। একবার বাসে বসে আমি পড়ছি, তখন দেখি একটা মুরগির বাচ্চা আমার খাতার ওপর এসে পড়ল। আমি তো অবাক, পরে দেখি আমার পাশে একজন অনেকগুলো মুরগি নিয়ে বসে আছেন।’
‘তিনি ছিলেন মুরগি বিক্রেতা। আরেকদিন আমি বাসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ক্লাসে যাচ্ছি। হঠাৎ দেখি আমার গায়ে পানি। পরে খেয়াল করি বাসের ছাদে একজন মাছ বিক্রেতা উঠেছেন, তার মাছের পানি ওপর থেকে এসে জানালার মধ্য দিয়ে আমার গায়ে পড়েছে।’ যোগ করেন সজল।
স্মৃতি হাতড়ে সজল বলেন, ‘সেদিনই ছিল একুশে টেলিভিশনে আমার অডিশন। ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে সেই দুর্গন্ধ গায়ে মেখেই অডিশনে হাজির হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কিছুই হবে না। তবে ভাগ্য সহায় ছিল। তাই হয়তো উত্তীর্ণ হয়েছিলাম।’
মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে সজল স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ‘একটা সময় রাস্তাঘাটে হকারের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়তে বসতে যেতেন। বাবা-মা সীমিত হাত খরচ দিতেন বলে সব বই কেনার সুযোগ হতো না। তাই রাস্তাতেই প্রিয় লেখকের বই গোগ্রাসে গিলতেন।’
যদিও ছোটবেলায় অভিনেতা, মডেল, উপস্থাপক কিংবা অন্য কোনো পেশায় নয়, সজল হতে চেয়েছিলেন রঙমিস্ত্রী। পরে নাটকে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সজলের দুঃখ ঘুচেছে।
রুম্মান রশীদ খান ও নন্দিতার উপস্থাপনায় ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে আসছে ঈদের চতুর্থ দিন সকাল ৭টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন রকিবুল আলম ও জোবায়ের ইকবাল।