সারাদেশে যখন ধানের দাম আর সরাসরি কৃষকদের কাছ হতে খাদ্য গুদামে ধান ক্রয়ের আলোচনায় দেশ সগরম ঠিক সেই সময়ে গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে চলছে ঠিক উল্টো চিত্র। অভিযোগ উঠেছে গোদাগাড়ী পৌর সদরের আফজি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার সহকারি শিক্ষক ও কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী শামসুজ্জোহা বাবু নিজেই প্রভাব খাটিয়ে সিন্ডিকেট তৈরী করে খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করছে। রবিবার (২ জুন )অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে সত্যতাও মিলে যায়।
গোপন সূত্রে জানাযায়, ওই শিক্ষক আগেই খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ৪০ টন ধান বিক্রয় করেছে। আবারও প্রায় ৩০ টন ধান দেবার জন্য গুদামের ভেতরে স্তুপ করে ঢেকে রাখা হয়েছে আছে কয়েকটি ধান বোঝায় টলিও। গুদামে ঢুকা মাত্রই সেটাও চোখে পড়লো।
কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, সরকারী ভাবি ধান ক্রয় করা হবে তা মাইকিং শুনে ধান দেবার কথা বলতে আসলে খাদ্য কর্মকর্তা জানান গোদাগাড়ী পৌরসভার বরাদ্দকৃত ধান ক্রয় করা হয়ে গেছে আর কোন সুযোগ নেই।
এসব অভিযোগে বিষয়ে খাদ্য গুদামের পরিদর্শক (ওসি এলএসডি) মির্জ জাকারিয়া বলেন, আসলে ধান ক্রয়ের পরিমাণ চেয়ে কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশী তাই সব কৃষকের কাছে হতে ধান ক্রয় করা সম্ভব না। সরকার ক্রয়ের পরিমান বাড়ালে বেশী করে কৃষকদের নিকট হতে ধান কেনতে পারবে বলে জানান।
খাদ্য কর্মকর্তাকে কথিত শিক্ষক ও সাংবাদিক শামসুজ্জোহা বাবুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তাকে এসব সুবিধা দিয়েছেন বললে তিনি এসব কিছুই জানেন না বলে জানান।
অথচ সহকারি খাদ্য পরিদর্শক মোঃ সোহেলের কাছে হতে কৃষকদের বস্তা দেবার খাতা দেখতে চাইলে ২৬-৫-২০১৯ তারিখে তার নামে ২২৫ টি বস্তা, ২৭-৫-২০১৯ তারিখে তিন দফায় ৭৫ টি করে ২২৫ টি বস্তা, পুনারয় ২৮-৫-২০১৯ তারিখে ২২৫, ৩০-৫-২০১৯ তারিখে দুই দাফায় ২২৫টি ও ৭টি বস্তা দেবার রেকর্ড করা আছে।
এসব বিষয়ে খাদ্য পরিদর্শক (ওসি এলএসডি) মির্জা জাকারিয়া বলেন, কৃষকদের সাথে এসে কেউ এমনটি চালাকি করে নিতে পারে সেটা আমি বলতে পারবো না। এছাড়াও আমি এখানে নতুন এসেছি পরবর্তিতে আরো সতর্কতার সহিত কৃষকদের কাছে হতেই ধান ক্রয় করবো বলে জানান।
এই শিক্ষক ও কথিত সাংবাদিক এর আগেও নানান অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার প্রমান আছে যা বিভিন্ন পত্রত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিকাশ চন্দ্র বলেন, প্রকৃত কৃষক ছাড়া একক কোন ব্যক্তির ধান দেবার সুযোগ নাই। সাংবাদিক সাংবাদিক বাবুর নামে বস্তা বরাদ্দের বিষয়ে বলেন কারো নামে বস্তা দেবার সুযোগ নেই তবে খাতায় তার নাম কিভাবে এল সে বিষয়ে তার জানা নেই বলে মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে শামসুজ্জোহা বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অকপটেই তা স্বীকার করে বলেন, আমার একটু ভূল হয়ে গেছে একবার সংশোধনের সুযোগ দেন। খাদ্য গুদামে ধান দিয়ে কিছু টাকা লাভ হয়েছেও বলে জানান।