ঈদের আনন্দ পরিবারের সবার সাথে ভাগ করতে ও গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে ট্রেনে ঈদযাত্রার ৪র্থ দিন গতকাল সোমবার চাটমোহর স্টেশনে এসে নেমেছেন অসংখ্য যাত্রী। শুধু চাটমোহরেই নয় পাবনা,আটঘরিয়া,বড়াইগ্রামসহ অন্যান্য উপজেলার ঈদে ঘরমুখো মানুষ আসছেন ট্রেনে। আন্তঃনগর সুন্দরবন,চিত্রা,ধূমকেতু,একতা,লালমনি এক্সপ্রেস,দ্রুতযানসহ মেইল ট্রেনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসছেন। ট্রেনের ছাদে আসছে দিনমজুর,গার্মেন্টস কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। ঝুঁকি নিয়েও অনেকে ট্রেনের ছাদে ভ্রমন করছেন। ট্রেনের ছাদে আসা আটঘরিয়ার গার্মেন্ট কর্মী আফতাব হোসেন বললেন,ভেতরে ছিট নেই,দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে ছাদে ভ্রমন ভালো। এক প্রশ্নের জবাবে বললেন,ঝুঁকি তো আছেই ছাদে ভ্রমণের। কিন্তু বাড়িতে তো আসতেই হবে। এদিকে ট্রেন স্টেশনে থামার সাথে সাথে ট্রেনের ছাদে মই লাগানো হয়। একজন যাত্রীকে ১০ টাকা দিয়ে মই দিয়ে নামতে হয়। শুধু মই দিয়েই নয়,প্লাটফরমে নামতে না পেরে অনেকে নামছেন উল্টো দিক দিয়ে। এতে ঝুঁকি আরো বেশী। সময়মতো নামতে না পারলে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। স্টেশন মাস্টার জানালেন,কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠছে। এখাতো কেবল নামছে। আমার তো এখানে কিছু করার নেই।’এদিকে ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তারকর্মী হিসেবে আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সার্বক্ষনিক যাত্রীদের সহযোগিতা করছেন।