ঈদুল ফিৎ্র-এর কেনাকাটার শেষ মুহূর্তে পোশাকের পাশাপাশি বিশেষ স্থান দখল করে আছে পবিত্রতার প্রতিক আতর, সুরমা ও টুপি। তাই সাধারণ সময়ের চেয়ে সোমবার (৩ জুন) এসবের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিলো চোঁখে পড়ার মত। আর ক্রেতাদের পছন্দের সুগন্ধি সরবরাহ করতে বিক্রেতাদের ব্যস্ততাও বেড়েছে অনেক বেশি। যে কারণে এ তিনটি পণ্যের কদরও বেড়েছে কয়েকগুণ।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রমজানের শেষ দশকে অধিকাংশ ক্রেতা পোশাক পরিচ্ছদ কেনার পর্ব শেষ করেছেন। তবে লেডিস কর্নারগুলোতে মহিলা ক্রেতাদেরও ভীড় ছিল লক্ষনীয়। ঈদকে ঘিরে ছোট-বড় সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে বইতে শুরু করেছে আনন্দের জোয়ার। শেষ সময়ে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে শুরু হয়েছে কেনা কাটার ধুম।
রাজশাহী নগরীর অন্যান্য দোকানগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে ব্যস্ততা। সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলে তাদের বেচাকেনা। তবে ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতার সংখ্যা আরো বাড়ছে এমন দাবী বিক্রেতারই। এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে এসেছে দেশি ও বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতর। এগুলোর দামও কিছুটা বেড়েছে। আতরের দাম বাড়লেও এ বিষয়ে কোন আপত্তি নেই ক্রেতাদের।
ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আতর। সৌদি আতরের মধ্যে রয়েছে- সুলতান, সিলভার, রর্ডস, সফট, দালাল, এ্যারোসা, আল-ফারিস, বাখুর। প্রতি বোতল আতর বিক্রি হচ্ছে দেড়শ’ থেকে আড়াইশ’ টাকা পযর্ন্ত। ইন্ডিয়ার আতরের মধ্যে রয়েছে- মজমা, জেসমীন, ফেন্সি বুকেট, সালমা, ফান্টাসিয়া, ভিকি। প্রতি আউন্স বিক্রি হচ্ছে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় আতর। এর মধ্যে- শাহী দরবার, কাঁচা বেলী, ফাওয়াকী, মদীনা, সিকে অন সায়মা, ব্লাক স্টোন, বকুল, মুসকে আম্বার, গোলাপ, কোবরা, লীলা, গোলে লায়লা, ম্যাগনেট ইত্যাদি।