ছুটি শেষ। প্রিয়জনের সাথে ঈদ ছুটি কাটিয়ে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। তাই ঢাকাগামী দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের কিছুটা ভীড় বাড়ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। ফেরী ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান বিকেলে ঢাকাগামী পরিবহনের চাপ বাড়বে। এই মুহুর্তে ছোট কিছু গাড়ী ফেরী পার হচ্ছে।
এর আগে ৩১মে (শুক্রবার) থেকে রাজধানী ঢাকাসহ কর্মস্থল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের লঞ্চ এবং ফেরীতে নদী পার হয়ে ঘরে ফিরেছেন কর্মব্যস্ত মানুষেরা।
শনিবার ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। তবে নেই কোন যানজট বা ভোগান্তি। কর্তৃপক্ষের দাবী কর্মব্যস্ত মানুষেরা যেমনটি কোন ঝুক্কিঝামেলা ছাড়াই ঘরে ফিরেছেন তেমনি তারা কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই আবার তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাবে।
এ সময় ফরিদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া সুমন আহম্মেদ নামে এক যাত্রী বলেন সারা বছর এই রুটে যেমনটি ঝামেলা পোহাতে হয় ঈদকে কেন্দ্র করে তেমন দুর্ভোগ ছিল না। আগের ঈদ থেকে এই ঈদে দুর্ভোগ একেবারে নেই বললেই চলে।
মাগুরা থেকে ঈগল পরিবহনের যাত্রী খায়রুল আলম জানান, ঈদের ছুটি শেষ কাল থেকে অফিস তাই আজই ফিরে যাচ্ছি ঢাকাতে। এ বছর সড়ক ও ঘাটে যথেষ্ঠ নিরাপত্তা ছিল। যার কারণে ছুটিতে বাড়ী ফিরতে কোন অসুবিধা হয়নি। পূর্বের ঈদ থেকে তুলনামূলক কোন দুর্ভোগে পরতে হয়নি।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে কমর্রত বিআইডব্লিটিএ’র সুপার ভাইজার কোরবান আলী জানান, আগের ঈদগুলোর চেয়ে এ বছর ভোগান্তি কমাতে একটু আলাদা কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছর আমরা নিজেরা লঞ্চ তদারকি করছি। এরুটে ২২টি লঞ্চ চলছে। কোন লঞ্চে বাড়তি যাত্রী যাতে না নিতে পারে সেজন্য ভ্রাম্যমান আদালত রয়েছে। সময়মত লঞ্চ গুলো ছাড়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোন ভিড় নেই তবে বিকেল বা আগামীকাল ভীড় হতে পারে ঢাকা মুখী মানুষের।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) শফিকুল ইসলাম জানান, কোন প্রাকৃতিক দুযোর্গ না হলে কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরা মানুষগুলো সুন্দরভাবে কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। শনিবার থেকে ঢাকাগামী মানুষের ভীড় একটু বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। বিকেলে দিকে চাপ বাড়বে বলে মনে করছি। স্বাভাবিক সময়ে এই নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ছোট বড় যানবাহন পারাপার করা হয়। এখন ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন তার কয়েকগুণ যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরী চলাচল করছে।
তিনি বলেন, ঈদের ৩ দিন আগে থেকে জরুরী পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ী ছাড়া পারাপার বন্ধ ছিল ঠিক আজ পর্যন্ত জরুরী পন্য ও যাত্রীবাহী গাড়ী পারাপার হবে। এরপর যে কোন পণ্যবাহী গাড়ী এরুটে চলাচল করতে পারবে। তিনি বলেন, বিগত ঈদ গুলোর থেকে এই ঈদে ঘরে মানুষ অনেক স্বাচ্ছন্দের সাথে যাতায়াত করতে পারছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) এজাজ শফী জানান, শুরু হয়ে গেছে আমাদের কর্মতৎপরতা। যেমনটি কর্মব্যস্ত মানুষেরা নির্বিঘেœ ঘরে ফিরতে পেরেছেন ঠিক সেই ভাবে আমাদের পক্ষ থেকে তাদের ঢাকা ফেরাতে তৎপর রয়েছি। ঘাট এলাকায় যাদের ডিউটি রয়েছে তারা এখন তাদের দায়িত্বপালন করছেন। আশা করি কোন প্রাকৃতিক দুযোর্গ না হলে ভালভাবেই কর্মস্থলে ফিরতে পারবে এই রুট ব্যবহারকারীরা।
গোয়ালন্দ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, আইনশৃংখলাবাহিনীসহ সকল পক্ষ যাত্রীদের নিরাপদে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত ব্যাপক তৎপর রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থির সম্মুখিন কেউ হননি। সার্বক্ষনিক আইনশৃংখলা বাহিনীসহ নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট ঘাট তদারকি করছেন। কোন প্রকার অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।