পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নাটোরের বড়াইগ্রামে ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা। ভিআইপি বাস ছাড়াও স্থানীয়ভাবে চলাচলকারী বাস রিজার্ভ নিয়ে সেসব বাসেও একই ভাড়া আদায় করছে তারা।
শনিবার বনপাড়া বাইপাস ও বড়াইগ্রাম থানার মোড়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে বড়াইগ্রাম থেকে ঢাকার বাস ভাড়া অন্য সময় ৪০০ টাকা নেয়া হয়। কিন্তু ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি টিকেট প্রতি দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত টাকা নিলেও টিকেটে নিয়মিত ভাড়ার অংকই লিখে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঢাকার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শামীম রেজা জানান, ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার সময় ৬৫০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হয়েছে। এখন ফিরতি টিকেট নিতে গেলে কোনটিতে ৭০০ আবার কোনটিতে সাড়ে সাতশ টাকা ভাড়া চাচ্ছেন কাউন্টার মাষ্টারেরা। চকপাড়া গ্রামের শাহাদৎ হোসেন জানান, আমার টিকেটে ৪০০ টাকা লিখলেও টিকেট বিক্রেতা ৭০০ টাকাই নিয়েছেন। প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বড়াইগ্রাম রাজাকার মোড়ের দেশ ট্রাভেলসের টিকেট বিক্রেতা আব্দুল্লাহ বলেন, ঈদের আগে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছে। এখনও ঢাকা থেকে কম যাত্রী নিয়ে বাস আসছে। তাই যাতায়াতের খরচ হিসাব করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নিলেও ভিআইপি গাড়িতে না তুলে রিজার্ভ করা সাধারণ বাসে যাত্রী তুলে দেয়াটা প্রতারণা কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।