ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের গড়িয়াদাহ গ্রামের এক সাবেক ইউপি সদস্যর বাড়ির প্রাচীর ভাঙচুর ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে সরোজমিন পরিদর্শনে গেলে অভিযোগকারী গড়িয়াদহ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শান্তিরাম মন্ডল, গুরুপদ মন্ডল, বিষ্ণুপদ মন্ডল, বিনয় চন্দ্র মন্ডল ও অমিত মন্ডল বলেন- আমাদের বাড়ির নতুন নির্মিত প্রাচীর প্রতিবেশি কবিতা রাণী সরকারের পক্ষ নিয়ে এলকার সাজ্জাদ মোল্যা নিজে তার বাহিনী নিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলেছে। প্রতিবেশি ও এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে সাজ্জাদ মোল্যা ও তার লোকজন শান্তিরাম মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে নব নির্মিত প্রাচীর ভাংচুর করে এবং জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সাজ্জাদ বাহিনীর তান্ডবে এলকার লোকজন ভীতি-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে শান্তিরাম মন্ডলের ছোট ভাই অমিত মন্ডল (ভুলেন) বলেন- আমাদের বাড়ির পাশের প্রতিবেশি কবিতা সরকার দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামী বিমল সরকার, জামাই বিশ্বজিৎ সরকার, পোল্লাদ সরকার ও প্রতিবেশি স্বপন বাহিনী দিয়ে আমাদের বাড়ির সীমানা দখল করার চেষ্টা চালায়। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির মোল্যার কাছে আপস মিমাংসার জন্য আবেদন করলে তিনি উপজেলার বিখ্যাত ৪ জন আমিন, আড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে জমি মেপে আমাদের সীমানা বুঝিয়ে দেন। উভয় পক্ষের সম্মতিতে আমরা বাড়ির প্রাচীর নির্মাণ করি। ঘটনার দিন শুক্রবার কবিতা সরকার ও তার মেয়ে সাধনা সরকার পাশের আড়পাড়া গ্রামের লোকজন এনে তান্ডব চালিয়ে বাড়ির মহিলাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের বাড়ীর প্রাচীর ভেঙে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে কবিতা সরকারের মেয়ে সেবিকা সাধনা সরকারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন আমরা কেউ শান্তিরাম মন্ডলের বাড়ির দেওয়াল ভাঙ্গিনি, দেওয়াল ভেঙেছে আড়পাড়া গ্রামের সাজ্জাদ মোল্যা, তার ছোট দুই ভাইসহ অন্যান্য লোকজন। আপনাদের নিজেদের গোত্রিয় সমস্যায় সাজ্জাদ বাহিনী এমন কাজ করল কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাধনা সরকার বলেন চেয়াম্যানের সালিশ আমাদের মনোপুত না হওয়ায় আমরা সাজ্জাদ ভাইকে ডেকে এনেছি।
এ বিষয়ে আড়পাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন মোল্যা সাংবাদিকদের বলেন- আমার ইউনিয়নের গড়িয়াদাহ গ্রামের সাবেক মেম্বর শান্তিরাম মন্ডল ও তার প্রতিবেশি কবিতার সরকারের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে আমি ঐ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সালাম মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রউফ মৃধা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে উপজেলার বিখ্যাত চারজন ভূমিজরিপ আমিনকে নিয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে দুই পরিবারের সীমানা নির্ধারণ করে দেই। আমাদের সমাধানের ভিত্তিতে শান্তিরাম মন্ডল তার সীমানার মধ্যে দেওয়াল নির্মান করে। কিন্তু এলাকার কিছু খারাপ লোক কবিতা সরকারের পক্ষ নিয়ে শান্তিরাম মন্ডলের নব-নির্মিত দেওয়াল ভেঙে ফেলে। যারা এমন কাজটি করেছে তাদের ব্যপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। আড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ সালাম মন্ডল বলেন- সাজ্জাদ ও তার বাহিনী দিয়ে শান্তিরাম মন্ডলের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে অবশ্যই এই সন্ত্রাসীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া উচিত। এ ব্যপারে অভিযুক্ত মোঃ সাজ্জাদ মোল্যার সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন এই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তিরাম মন্ডলের পক্ষ থেকে মধুখালী থানায় একটি মৌকিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।