দৈনিক সমকালের কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও দৌলতপুর প্রেসক্লাব সদস্য আহমেদ রাজুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার এ উপজেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
বেলা ১১টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। দৌলতপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অ্যাড. এমজি মাহমুদ মন্টুর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের কাগজ সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু, দৈনিক দিনকালের দৌলতপুর প্রতিনিধি এমএস শাহীন, এটিএন নিউজের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম, ভোরের কাগজ ও বার্তা সংস্থা এনএনবির দৌলতপুর প্রতিনিধি এস আর সেলিম, ভোরের কাগজের ভেড়ামারা প্রতিনিথি ইসমাইল হোসেন বাবু, মানবজমিনের ভেড়ামারা প্রতিনিধি শাহ জামাল, দৈনিক নয়া দিগন্তের দৌলতপুর প্রতিনিধি আহাদ আলী নয়ন, জনকণ্ঠের দৌলতপুর প্রতিনিধি সাইদুল আনাম, আল্লারদর্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার জালাল উদ্দিন, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল আলীম সাচ্চু, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা দৌলতপুর শাখার সভাপতি মোজাম্মেল আলী বাবু, দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রনি আহমেদ, স্থানীয় দৈনিক দেশের বাণী প্রতিনিধি সাইদুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক আহমেদ রাজুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহেল ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ এখনো তাদের গ্রেপ্তার না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় বক্তারা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান। এ সময়ের মধ্যে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে গোটা জেলাব্যাপী বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করা হয়। পরে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে দৌলতপুর প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে কুষ্টিয়া, ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে (ঈদের চাঁদ রাতে) উপজেলার তারাগুনিয়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে সেখানকার চৌরাস্তার কাছে ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সোহেল তার দলবল নিয়ে সাংবাদিক আহমেদ রাজুর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আহমেদ রাজু গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে এ উপজেলায় কর্মরত সহকর্মী সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ ঘটনায় আহমেদ রাজু বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সোহেলকে প্রধান আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আহমেদ রাজুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা গতকাল রোববার এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এর আগে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের প্রতি মৌখিকভাবে বারবার দাবি জানানো হলেও পুলিশ কর্ণপাত না করায় অবশেষে সাংবাদিকরা এই কর্মসূচি পালনে বাধ্য হন।