ফরিদপুরের নগরকান্দায় স্ত্রীর গর্ভের সন্তানের দাবী করছেন দুই স্বামী। এই নিয়ে কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিশ হয়েও কোন ফায়সালা করতে পারেনি সমাজপতিরা।
জানাগেছে উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালদি গ্রামের আলমগীর কাজির মেয়ে নাজমা বেগমের প্রায় ১০ বছর পূর্বে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার জুনাসুর গ্রামের বাদশা লস্করের ছেলে ছাবু লস্করের সাথে বিয়ে হয়। নাজমা বেগম সেখানে দীর্ঘদিন সংসার করার পর স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হয়ে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট তারিখে এফিডেভিট করে স্বামী ছাবুকে তালাক প্রদান করে। পরে গোয়ালদি গ্রামের লাল মোল্যার ছেলে হেলাল মোল্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে হেলালের সাথে নাজমার বিয়ে হয়। সেখানে সংসার করার পর ২০১৯ সালের ১ মার্চ নাজমা হেলালকে তালাক দিয়ে পূর্বের স্বামী ছাবুর সাথে আবার সংসার শুরু করে। এর মাঝে নাজমা সন্তানসম্ভবা হয়। এখন হেলালের দাবী এই সন্তান আমার অন্যদিকে ছাবুর দাবী এই সন্তান আমার।
এ ব্যাপারে হেলাল সন্তান দাবী করে বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর আমি বাড়ীতে না থাকার সুবাদে নাজমা ও তার বাবা মাকে নিয়ে আমার বাড়ী থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্রসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। যাহার দাবীতে গত ২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করিয়াছি। হেলাল আরো বলেন, নাজমার পিতা আলমগীর কাজি আমার নামে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলে প্রায়ই আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
গর্ভের সন্তানের দাবী করে ছাবু বলেন, হেলাল যে যুদ্ধ শুরু করেছে ওকে শায়েস্তা করতে আমার স্ত্রী নাজমাকে দিয়ে হেলালের নামে নারী নির্যাতন মামলা করিয়েছি।
নাজমা বেগমের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নারাজ বলে জানান।
পুরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আপস মিমাংসার চেষ্টা চলছে। অতি শ্রীঘ্রই বিষয়টি মিমাংসা করে দিবো।