অবশেষে শ্রীনগর উপজেলার সেই আলোচিত, আগুনে দগ্ধ গৃহবধুর ৭৫ শতাংশ পোড়াদেহ নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ে অবশেষে মৃত্যু হয়েছে।
স্বামীর বাড়ী নির্যাতন ও পারিবারিক কলহে গত শুক্রবার ৭ জুন দুপুরে উপজেলার উত্তর সেলামতি নয়াপাড়া গ্রামের গৃহবধু জেসমিন(৩৮) নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা উত্তর সেলামতি গ্রামের নয়াপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন অজুহাতে স্ত্রী জিয়াসমিনকে নির্যাতন করে আসছিল। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এর পূর্বেও জেয়াসমিন খাবারে বিষ মিশিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, জেসমিন গেল সপ্তাহে শুক্রবার সকালে স্বামীর সাথে ঝগড়ার বাধার একপর্যায়ে স্বামী একই কায়দায় জেসমিনকে নির্যাতন চালায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই দিন দুপুরে জেসমিন নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে অগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় আগুনে দগ্ধ অবস্থায় প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার আশংকাজনক অবস্থায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের র্বাণ ইউনিটে প্রেরণ করে। এ সময় আগুনে তার শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ পোড়া নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ে অবশেষে আজ মঙ্গল বার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যায়। জেয়াসমিন উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ব্রাম্মন পাইকসা গ্রামের মৃত আজিজ শেখের মেয়ে। এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ ইউনুচ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জেসমিনের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম আরিফ বাদী হয়ে ১০ জুন শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করেছে। যাহার মামলা নং-০৯।