পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শহরের কর্ম ব্যস্ত মানুষ গুলো গ্রামের এসেছে ঈদের আগে। ঈদ শেষ সেই সাথে শেষ হয়ে গেচ্ছে ঈদের ছুটিও। তাই নাড়ীর টানে মায়া ত্যাগ করে সবাই যোগ দিতে হচ্ছে কর্মস্থলে। আবারো শহরের সেই চির চেনা রূপের সাথে মিশে গিয়ে মানুষ গুলোও হয়ে যাবে কর্মব্যস্ত। কিন্তু শহর মুখি মানুষ গুলোর যাতায়াতে সকল যানবাহরের ভাড়াই যো লাগাম হীন। পরিবহন মালিকদের কছে থেকেও মেলেনি ভাড়া বৃদ্ধির কোনো সৎ উত্তর।
সারাদেশের ন্যায় একই চিত্র দেখা মিলছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাস, সিএনজি, অটোরিকসা সহ সকল যানবাহনের কাউন্টার গুলোতে। ঈদকে কেন্দ্র করে সবাই যেন ১ টাকার ভাড়া ২/৩ টাকা করে ফেলে পরিবহন মালিকরা। আর এই নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করেতে গেলেই নানা রকম হুমকি দামকির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ঈদ পরবর্তী সময় থেকে দুর্গাপুরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সব কিছু ভাড়াই রাখা হচ্ছে দ্বিগুণ। অটো রিকশায় দুর্গাপুর- নাজিরপুর পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, চন্ডিগড় ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা, জারিয়া ৩০ টাকা থেকে ৫০/৬০ টাকা, বারমারী ৩০ থেকে ৫০ টাকা সহ প্রায় সব রোডের ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ। আর সিএনজি দুর্গাপুর থেকে ময়মনসিংহের ঈদের আগে ভাড়া ছিল ২ শত টাকা। আর এখন জনপ্রতি ভাড়া রাখা হচ্ছে ৪ টাকা। আর এর কারণ ঈদ বাজার বলে জানায় চালকরা। অপরদিকে পুরোপুরি লাগাম ছাড়িয়েছে ঢাকা গামী বাস গুলো। ৩ শত ৫০ টাকার টিকিট এখন ৭ শত টাকা। এর উপর আবার দীর্ঘ লাইনে দাঁিড়য়েও মিলছে বাসের টিকিট, ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁ”েছে। প্রতিদিন দুর্গাপুর থেকে মা-মনি পরিবহন, সাদিয়া পরিবহন, ধ্রুব এন্টারপ্রাইজ সহ দিনে রাতে প্রায় ১০টি বাস ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে য়ায়। আর ঈদ উপলক্ষে সৌখিন, শাহ্ জালাল সহ বেশ কিছু নতুন বাস নামিয়ে এই রোডে বাসের সংখ্যাও দ্বিগুণ করেছে পরিবহন মালিকরা। কিন্তু তাতে কোনা লাভ হয়নি যাত্রীদের। কারণ শহর মুখি সকল বাসের ভাড়া যে আকাশ ছোঁয়া। ফলে সবদিক দিয়ে লাভের পাল্লা ভারী করছেন বাস মালিকরাই। আর এই নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে খুবের কোন কমতি নেই। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যক গুলোতে প্রতিদিনিই অতিরিক্ত আদায়ের ভাড়া নানা মুখি চিত্র তুলে ধরছে যাত্রীরা। এরই সূত্র ধরে গতকাল সোমবার রাতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম মা-মনি বাস কাডন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও উপস্থিত প্রায় ২৫ জন যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া ফিরিয়েও দেন তিনি। ঢাকা যাত্রীরা জানায়, ঈদে বাড়ি আসার সময় ৩ শত ৫০ টাকার ভাড়া ৭ শত টাকা দিতে হয়েছে। এখন আবার ঢাকা যাবো প্রতি সিটের ভাড়া রাখা হচ্ছে ৭ শত টাকা। এভাবে অতিরিক্ত ভাড়া রাখলে আমরা কি ভাবে কি করবো। কিছু বলেই বলে ভাড়া ৭ শত টাকাই যাইলে গাড়িতে উঠেন না হলে নেমে জান। তবে যাত্রীদের অভিযোগ কথা শিকার করে মা-মনি বাসের চালক বলেন, ঈদে যাত্রীদের এক মুখ চাপ থাকে। এখনো ঢাকা থেকে তেমন কোনা যাত্রী গ্রামের পথে আসছেন না। ফলে ঢাকা থেকে পুরো গাড়ি খালি নিয়ে আমাদের আসতে হচ্ছে। তাই যাত্রীদের কাছ থেকে কিছুটা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে কিছু দিনের মাঝে তা আবার আমরা আগের ভাড়ায় ফিরে যাবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন পরবর্তীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে এমন সংবাদ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেব