জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রামে এক শিশুকে (১২) ধর্ষণ করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিশুটিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক রাকিব গাজী (১৯) পলাতক রয়েছে।
বুধবার দুপুরে ধর্ষিতা শিশুটির স্বজনরা অভিযোগ করেন, ঘটনার পরপরই স্থানীয় বান্না ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার বিষয়টি ধাঁমাচাপা দেয়ার জন্য এ ঘটনায় মামলা দায়ের না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে মীমাংসার চেষ্টা চালায়।
জানা গেছে, ধর্ষক রাকিব গাজী একই গ্রামের জাফর গাজীর পুত্র। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাকিব গাজী প্রতিবেশি ওই শিশুটিকে কৌশলে নিজেদের নির্জন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় শিশুটির চিৎকারে ধর্ষক রাকিবের মা ঘরে ফিরে অজ্ঞান অবস্থায় ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেন। একপর্যায়ে মেয়েকে খুঁজতে এসে শিশুটির মা রাকিবদের বাড়িতে এসে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে ডাকচিৎকার শুরু করেন। পরবর্তীতে মুমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলার চাখার হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষিতা শিশুটির মা অভিযোগ করেন, ঘটনার পরপরই বান্না ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার বিষয়টি ধাঁমাচাপা দিতে মীমাংসার চেষ্টা চালায়। প্রাথমিকভাবে মীমাংসা না করতে পারায় ওই ইউপি সদস্য নিজেই ধর্ষক রাকিবকে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। একইসাথে এ বিষয়ে থানায় কোনো প্রকার অভিযোগ কিংবা মামলা না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদারের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উজিরপুর মডেল থানা ওসি শিশির কুমার পাল জানান, বিষয়টি শুনেই তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া শিশুটির স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত রাকিব গাজীকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।