পদ্মা-যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে পাবনার বেড়া উপজেলার কাজীরহাট ও মানিকগঞ্জের সেবালয় উপজেলার আরিচা লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট। সেই সঙ্গে ভাঙনের মুখে পড়েছে কাজীরহাট ও আরিচা বাজার।
বেড়া উপজেলার রূপপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জ্বল জানান, পদ্মা-যমুনার পানি বৃদ্ধি এবং প্রচ- ঢেউয়ের কারণে কাজীরহাট-আরিচা লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ওই দু’টি ঘাট এলাকায় পদ্মা-যমুনার পাড় ভেঙে যাচ্ছে। এতে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে ঠিকমতো ভিড়তে পারছেনা।
লঞ্চ ও স্পিডবোট সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিন কাজীরহাট-আরিচা ঘাটে ৮০/৮৫টি স্পিডবোট এবং ৮/১০টি লঞ্চ ওই নৌ-পথে যাতায়াত করে। আর ওই সকল স্পিডবোট ও লঞ্চযোগে পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলার হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। বিশেষ করে প্রতিদিন পাবনার শত শত মানুষ স্পিডবোট ও লঞ্চযোগে ঢাকা যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু ঘাট দু’টি পদ্মা-যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় স্পিডবোট ও লঞ্চ চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার ঠান্টু সরদার জানান, পদ্মা-যমুনার ভাঙনে কেবল লঞ্চ এবং স্পিডবোট ঘাট নয়, ভাঙনের মুখে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী কাজীরহাট এবং আরিচা বাজার। ইতোমধ্যে ওই দু’টি ঘাটের পাশে অবস্থিত ছোট ছোট দোকানপাট ভাঙনের মুখে পড়ায় দোকানীরা তাদের দোকানপাট অন্যত্র স্থানান্তর করেছেন। ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোন মুহূর্তে ওই দু’টি ঘাট এবং কাজীরহাট ও আরিচা বাজার পদ্মা-যমুনার বুকে হারিয়ে যেতে পারে। ভুক্তভোগীমহল ভাঙন প্রতিরোধে সিসিব্লক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের বলেন ইতোপূর্বে ভাঙনরোধে কাজীরহাট ঘাটে সিসিব্লক স্থাপন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে আবার ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।