প্রাণ ফিরেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে। মেডিক্যাল অফিসারের তিনটি পদ দীর্ঘ আট বছর শূন্য থাকার পর তিনজন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সেবা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উদ্যোগের প্রাথমিক বাস্তবায়ন হিসেবে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিসিসি’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
সূত্রমতে, বিসিসি’র জন্মলগ্ন থেকে মাত্র দুইজন চিকিৎসক (একজন এমবিবিএস ও একজন ভেটেরিনারি) দিয়ে চলছিল। আর এ দুইজনই বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১১ সালের দিকে মেডিক্যাল অফিসারের তিনটি পদ পূরণ করা হয়েছিল। এরপর সেখানে নগরীর বাসিন্দারা চিকিৎসাসেবা পাওয়ার পাশাপাশি ফ্রি ওষুধও পেতো। কিন্তু নিয়োগ পাওয়ার কয়েকদিন যেতে না যেতেই তিন চিকিৎসক বিসিএস’এ উত্তীর্ণ হওয়ায় তারা বিসিসি’র চাকরি ত্যাগ করেন।
চিকিৎসকের অভাবে বিসিসি’র পরিচালিত নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড ও কাউনিয়ায় দুইটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। আট বছর পর শূণ্য পদে নতুন তিনজন চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তারই ধারাবাহিকতায় ডাঃ মোঃ ফয়সাল, ডাঃ নাহিদ হাসান ও ডাঃ খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্রকে নিয়োগ দেয়া হয়।
বিসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ রবিউল ইসলাম বলেন, মেডিক্যাল অফিসারের তিনটি পদই পূর্ণ করা হয়েছে। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ স্বাস্থ্য বিভাগকে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো চালু করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও বিসিসি’র দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আরবান হেলথ কেয়ার প্রকল্পের অধীনে নগরীর আমানতগঞ্জ, কাউনিয়া, জুমিরখান সড়ক, কাউনিয়া ও রূপাতলীতে বিসিসি’র পাঁচটি মাতৃসদন রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত ১৫ মাস যাবত বেতন পাচ্ছেন না। ফলে মাতৃসদনগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন চিকিৎসক আপাতত সেগুলোর সেবা কার্যাক্রম তদারকি করবেন।