কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকার ভূমি দস্যু, সন্ত্রাসী, প্রতারক মিজুর কবল হইতে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী বিভিন্ন অপকর্মের কথা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
১৩ই জুন কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বানুর কুটি মৌজার প্রায় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি স্বাক্ষরিত ঐ এলাকার চিহ্নিত ভূমি দস্যু, প্রতারক, ভারতীয় জঙ্গী সংগঠন “উলফা”র সক্রিয় সদস্য, হুন্ডি, মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও শিশু পাচারকারীর কবল হইতে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর নিকট লিখিত আবেদন দাখিল করেন।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউপির বানুর কুটি গ্রামের আলিমুদ্দিনের পুত্র মিজানুর রহমান মিজু (৪৫), তার অন্যতম সহযোগী বড় ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড, মাদক পাচার ও হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ভারতে পাচার করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে এলাকার অসহায় মানুষদের জমির ভুয়া ও জাল কাগজ তৈরি করে এবং ভুয়া দাতা সাজিয়ে অনেকের জমি দখল করে উল্টো হত্যা মামলাসহ চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ আরো বিভিন্ন ধরনের মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগী ও নির্যাতিত অনেক অসহায় ব্যক্তি পরিবারসহ এ ধরনের সাজানো মামলা ও তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বাংলাদেশে তার প্রদর্শিত কোন বৈধ আয় না থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় জঙ্গী সংগঠন “উলফা”র অর্থায়ন ও তার নিজস্ব অবৈধ অর্থের বিনিয়োগে সোনাহাট স্থল বন্দর সংলগ্ন বেদখল কৃত জমি ও প্রস্তাবিত ৪ লেন সড়কের জমি দখল করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদনহীন দুর্বল ভিত্তির ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল আবাসিক হোটেল নির্মানের আড়ালে জঙ্গী ও মাদকের আস্তানা গড়ে তুলছে।
আরো উল্লেখ্য থাকে যে, বঙ্গসোনাহাট, বানুর কুটি গ্রামের সহজ সরল অসহায় মানুষদের ঘর-বাড়ী লুটপাট, ভাংচুর, উচ্ছেদ ও জমি দখল করতে থাকাবস্থায় গত কয়েক বছর যাবৎ সিরাজ গং, আঃ বাতেন গং, বৃদ্ধ মুয়াজি¦ন মোঃ হাসর উদ্দিন গং, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক পরিবারের অসহায় সন্তান মোঃ আবদুর রাজ্জাক মন্ডল, মোঃ আঃ আউয়াল, ডাঃ আঃ জব্বার, মোছাঃ হেলেনা বেগম, প্রতিবন্ধী মোছাঃ বিলকিছ, মোঃ আঃ জব্বার, মোঃ হবিবর রহমান হবি সহ অনেকের পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত সম্পতির ভূয়া ও জাল দলিল পত্রাদি, দাতা সৃষ্টি করে প্রকাশ্যে ও গোপনে, নামে-বেনামে অসংখ্য অসহায় মানুষের নূন্যতম আশ্রয় ভিটা-মাটি, জমি, ঘর-বাড়ী দখলের পাঁয়তারা করে আসছে এবং ওই দুষ্কৃতিকারী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক প্রদত্ত খুন-জখম, গুম, পাচার, মিথ্যা মামলা, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও ভ্রষ্টা নারী দিয়ে ফাঁসানো, বাড়ী ঘর ভাংচুর, উচ্ছেদ, জমি দখল ইত্যাদির অবিরত হুমকি মর্মে এলাকাবাসী সর্বদা আতংকিত। বস্তুত নিঃস্ব ছিঁচকে চোর মিজু এইসব অপঃকর্মের মাধ্যমে মাত্র কয়েক বছরেই ৮/১০ কোটি টাকা, বহুতল ভবন, তিনটি বাড়ী, ১৫/২০ বিঘা জমি, ব্যাংক ব্যালেন্স ছাড়াও নামে-বেনামে আরও অনেক অপ্রদর্শিত সম্পদের মালিক হয়েছে মর্মে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসি জানায় ওই মিজুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়াও তার নামে আরও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।