টাকার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে
আদালতে করা মামলার বাদীকে ডেকে এনে প্রত্যাহারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির চেম্বারে প্রত্যাহারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগের দিন ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে প্রত্যাহারের আবেদন করলেন বাদী।
জানাগেছে,সমঝোতা বৈঠকে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো.লোকমান হোসেন,এসআই ইয়াকুব আলী ও লক্ষ্মীপুর পৌর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজসহ মামলার বাদী হারুনুর রশিদসহ স্বাক্ষীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে সদর আমলি আদালতে হারুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করা হয়েছিল।মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল কাদের ঘটনাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামি ২০ আগস্টের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।
ওই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন সদর থানার এসআই ইয়াকুব আলী ও লক্ষ্মীপুর পৌর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ ও সদর থানার ওসি মো.লোকমান হোসেনসহ তিনজন।
বাদী মামলার আরজিতে অভিযোগ করেন, ১ জুন আবদুল আজিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলার চরভূতা এলাকার হারুনুর রশিদকে সদর থানায় ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় হারুনকে এসআই ইয়াকুব হুমকি দেন আজিজের তিন লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য। ওই টাকা না দিলে হারুন ও তার ছেলেদের ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি করে হাজতে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু আজিজের সঙ্গে হারুনের কোনো লেনদেন নেই। এমনি হারুন তাকে চেনেনও না। একপর্যায়ে ওসি লোকমান হোসেনের নির্দেশে হারুনকে থানা হাজতে রাখা হয়। পরে হারুনের ছেলে শাহিন উদ্দিনকে ডেকে এনে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, জোরপূর্বক চেকে ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এসআই ইয়াকুব।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ দাবি করেছে গত ২৯ মে হারুনদের বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা পাওনার ঘটনায় আজিজ থানায় অভিযোগ করেন। পরে উভয় পক্ষ থানায় একত্র হয়।এখানে কারও কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় ও বাধ্য করা হয়নি। মামলাটি উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেন ওসি।
মামলার বাদী হারুনুর রশিদ জানান, তাকে সমোঝোতা বৈঠকের কথা বলে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির কার্যালয়ে ডাকা হয়। পরে বৈঠকে সমঝোতা হয়। তিনি সমঝোতা সন্তুষ্ট।রোববার সকালে মামলা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদনটি জমা দেওয়া হবে।
সমোঝোতা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ কে এম হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের জানান,মিমংসার জন্য বাদী হারুনুর রশিদ আবেদন দিয়েছেন। বিষয়টি উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসা হয়েছে। রোববার সকালে আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদনটি পেশ করা হবে।
এ ব্যাপারে ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বাদী আবেদন করেছেন। রোববার শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেবেন। আবেদনে বাদী উল্লেখ করেছেন, মামলাটি তিনি প্রত্যাহার করে নিতে চান। আহনজীবিদের বৈঠকে তিনি সমঝোতা পেয়েছেন।