‘আইনের প্রয়োগে আমরা কঠোর হবো, দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে। কথা একটাই নির্বাচন নির্বাচনের মত হবে। আমরা হলাম প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যিনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাকে আমরা স্বাগত জানাবো। কিন্তু কে নির্বাচিত হয়ে আসবেন, ওইটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। প্রতি পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন আসে, এটি একটি উৎসবমুখর কার্যক্রম। মানুষের মধ্যে কোন আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।’
১৮ জুন পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে শনিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী দিক-নির্দেশনামূলক এ বক্তব্য রাখেন। দিনব্যাপী নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সাতটি উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনের ওই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটি সুন্দর নির্বাচন করবো। আগুনের ধোয়া দেখলে আমরা আগেই ব্যবস্থা নিব। তাহলে কোন কিছু হবে না। আমরা সবাই এ্যালার্ট থাকবো। হুমকি-ধামকি কোন কিছুতেই আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যদি মনে করেন আপনারা ট্যাকেল দিতে পারছেন না, আমাকে জানাবেন। প্রয়োজনে ওই কেন্দ্র আমরা বন্ধ করে দিব। প্রয়োজনে এখানে ৩৬টি কেন্দ্রে, ৩৬দিন নির্বাচন করবো। কিন্তু কোন অনিয়মের সঙ্গে আমরা আপস করবো না।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান খলিফার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন, রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান ও কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মেদ। বক্তারা ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের এই নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্দেশনা দেন।