যশোরের কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক কলেজ পড়-য়া ছাত্রী দিনব্যাপী অনশন শুরু করেছে। এ সময় ছেলের অভিভাবকরা ওই ছাত্রীর প্রেমকে অস্বীকার করে তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি নিরসনে করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার শয়লা গ্রামের আবদুল হাকিম মোল্যার মেয়ে নাসরিন আক্তার রিয়া কেশবপুর উপজেলার কোমরপুর আইডিয়াল কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। ২ বছর আগে কলেজে আসার সুবাদে কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রামের আতিয়ার খাঁর ছেলে মইনুর রহমানের সাথে তার পরিচয় ঘটে। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এ সময় মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লম্পট মইনুর রহমান তার সাথে উপর্যুপরি দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে বলে ওই ছাত্রী প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন।
নাসরিন আক্তার রিয়া বলেন, তার সাথে মইনুরের প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনেও তার অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে দেখাদেখি করে আগামি শুক্রবার মইনুরের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে। এ খবর জানতে পেরে সে ১৫ জুন বিকেল থেকে বিয়ের দাবিতে মইনুরের বাড়িতে অনশন শুরু করে। এ সময় তার অভিভাবকরা তাকে তিরস্কার করে মানসিকভাবে নির্যাতন অব্যাহত রাখে। এ রিপোর্ট লেখার সময় মেয়েটি প্রেমিক মইনুরের বাড়িতে অবস্থান করছিল। এ ব্যাপারে কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দীন আলা বলেন, মেয়েটিকে কোন প্রকার নির্যাতন না করে মইনুরের বাড়িতে রাখা হয়েছে। তার অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। ১৬ জুন উভয় পরিবারের লোকদের নিয়ে বসে বিষয়টি নিরসন করা হবে। কেশবপুর থানার ওসি মো. শাহিন বলেন, মেয়েটিকে কোন প্রকার নির্যাতন না করে বিষয়টি নিরসনের জন্যে চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।