দাবিকৃত যৌতুকের দুই লাখ টাকা পরিশোধ না করায় স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের অমানুষিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছিলেন এক সন্তানের জননী অসহায় গৃহবধূ রুমা বেগম (৩২)। পরবর্তীতে মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বামীর ভাড়াটিয়া লোকজনে রুমা বেগমকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো।
তাদের হুমকির পরেও মামলা প্রত্যাহার না করায় মিথ্যে অপবাদ দিয়ে রুমা বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার পূর্ব বেজহার গ্রামের। মঙ্গলবার সকালে উজিরপুর উপজেলার দত্তেস্বর গ্রামের আবদুল হাকিম বিশ্বাসের কন্যা অসহায় গৃহবধূ রুমা বেগম জানান, প্রায় ১২ পূর্বে সামাজিকভাবে পূর্ব বেজহার গ্রামের মৃত নুরুল হক সরদারের পুত্র মন্টু সরদারের সাথে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে দশ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। রুমা বেগম আরও জানান, বিয়ের পর কর্মের সুবাদে তার (রুমা) বাবার বাড়ির যৌতুকের টাকায় মন্টু দুবাই গমন করেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে মন্টু সরদার জানায় দুুবাইতে সে প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন। ফলে পূর্ণরায় দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। বাবার বাড়ি থেকে দ্বিতীয় দফায় যৌতুকের টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় মন্টু ও তার পরিবারের সদস্যরা রুমা বেগমকে প্রায়ই শারিরিক নির্যাতন করে আসছিলো। তাদের অব্যাহত নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অসহায় গৃহবধূ রুমা বেগম আদালতে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালতে মীমাংসাপত্র দিয়ে জামিন নেয় মন্টু। পরবর্তীতে গত ১৬ জুন দুপুরে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে মন্টু সরদার নাটকীয়ভাবে রুমা বেগম ও তার সন্তানকে স্থানীয় ইউপি ভবনে ডেকে নিয়ে আটক করে রাখেন। এ সুযোগে স্বামীর বাড়িতে রুমার বসবাসের ঘরটি উচ্ছেদের জন্য ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়। আটকের খবর পেয়ে থানা পুলিশ গৃহবধূ রুমা বেগমকে উদ্ধার করে তার বাবার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। অসহায় গৃহবধূ রুমা বেগম স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।