নেত্রকোণার কলমাকান্দায় ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আরিফ মীর (২২) নামের এ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা করায় এখন ছাত্রীটিকে অপহরন করে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রীর মা। বৃহস্পতিবার (২০) দুপুরে এ অপহরনের হুমকি দেয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে (১৯ জুন) নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই মামলাটি হয়।
মামলার বরাত দিয়ে বাদী পক্ষের নেত্রকোনা জজ কোর্ট আইনজীবী এডভোকেট গাজীউর রহমান জানান, মামলার একমাত্র আসামি আরিফ মীর হলেন কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের বাহাম গ্রামের মো. নাসির মীরের ছেলে। বাদী হলেন আসামির প্রতিবেশি ওই ছাত্রীর মা। ছাত্রীটি ঢাকার একটি মাদ্রায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। এ ছাত্রীর বয়স ১৪ বছর।
মামলার বিবরণ সূত্রে ওই আইনজীবী বলেন, ছাত্রীটি ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর গত ৭ জুন রাত ৮ টার দিকে নিজেদের ঘরে সে একা বসেছিল। তখন হঠাৎ ওই আরিফ মীর এসে ছাত্রীর মুখে গামছা বেঁধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রী চিৎকার করার পর আরিফ মীর দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল আরিফ মীরের পক্ষ নিয়ে গ্রাম্য শালীশীতে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে আরিফ মীরকে ১০টি বেত্রাঘাত করে। তাছাড়া, শালীশকাররা ছাত্রী ও পরিবারকে আইনী আশ্রয়ে না যাবারও নির্দেশ দেয়। কিন্তু ছাত্রী ও তার পরিবার এ নির্দেশ মন থেকে মেনে নেননি। এতদিন এ নিদের্শ উপেক্ষা করতে অসুবিধে ছিল বলে এখন গ্রাম থেকে পালিয়ে এসে ছাত্রীর মা ওই মামলাটি করেন। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদ তৈরীর জন্য নেত্রকোনা ডিএসবি’র পরিদর্শকে নির্দেশ দেন।নেত্রকোনা ডিএসবি পরিদর্শক অভিরঞ্জন দেব গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানিয়েছেন, ওই নির্দেশ এখনো তার হাতে পৌঁছেনি।
ছাত্রীর মা বলেন, ওই মামলা করার পর এখন আসামি পক্ষ হুমকি দিচ্ছেন মামলা তোলে না নিলে ছাত্রীকে অপহরন ও মারধর করা হবে। আসামি পক্ষ থেকে ছাত্রীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও চলাচলে বিভিন্ন ভাবে বাঁধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই মা।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আরিফের বাবা মো. নাসির মীরের যোগাযোগ করা হলে অপহরনের হুমকি দেয়া বিষয়টি অস্¦ীকার করে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান , ওই ধর্ষণের ঘটনাটি সাজানো। আমার ছেলে ও আমার পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে সমাজের একটি কুচক্্রী মহল। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাব।