কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক অসহায় পরিবারের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে ৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রায়গঞ্জ এলাকায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রায়গঞ্জ এলাকার মৃত খুজালু শেখের ছেলে খলিলুর রহমান তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য নি¤œ তফসিলভুক্ত জমি যার জে.এল নং-৬, আর.এস খতিয়ান নং-৬২৩, দাগ নং-৪৩৪২ এর অধিন ১১শতক জমি বিক্রির জন্য ক্রেতার সাথে দামদর চূড়ান্ত করেন। কিন্তু পার্শ্ববর্তী আব্দুল জলিলের ছেলে শাহিন আলম (৩৫), মৃত খুজালু শেখের ছেলে আব্দুল জলিল এবং মৃত জবির উদ্দিনের ছেলে ফজলু মিয়া (৫৫) ওই জমি জবরদখলের পায়তারাসহ খলিলুর রহমানের নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে এবং তার মেয়ের বিয়ে দিতে বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও খলিলুর রহমানকে মারডাংসহ প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতাং ১৯ জুন বুধবার জমির ক্রেতাকে নিয়ে বাড়িতে লেনদেনের জন্য আলোচনায় বসলে অভিযুক্ত ব্যাক্তিগণ সেখানে গিয়ে স্বাক্ষী হাতিয়ারভিটা এলাকার মৃত বয়েজ উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফি (মহিলা মেম্বারের স্বামী), রতনপুর এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে ফজলুল হক, রাঙ্গালিরবসের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে শাহাবুদ্দিন এবং নায়েব উদ্দিনসহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে সেখানে গিয়ে বাধা প্রদান করেন এবং অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জমি বিক্রির ৪ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এখন খলিলুর রহমানের পরিবার অসহায় জীবনযাপন করছে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে খলিলুর রহমান বলেন আমি আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ বিষয়ে মামলা করলে শাহিন ও তার লোকজন আমাকে যেখানে দেখা পাবে সেখানে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে এবং বলছে তোর মেয়েকে কীভাবে বিয়ে দিস তাই দেখব। ঘটনার প্রতক্ষদর্শী রায়গঞ্জ ইউপির মহিলা সদস্যের স্বামী শফিকুল ইসলাম শফি বলেন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম এবং আমি শাহিন ও তার লোকজনকে আটকাতে গেলে উল্টো আমার উপরই চড়াও হয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে। এ ব্যাপারে জানতে রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আসম আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ মাসুমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রওশন কবীর বলেন, প্রতিদিন তো অনেক অভিযোগ আসে। তবে দেখতে হবে। দেখে বলতে পারবো।