৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ফুট প্রশস্তের সড়ক নির্মানের একদিনের মধ্যেই ঢালাই দেয়া কার্পেটিং উঠে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার এমএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহফুজ খান।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই ঠিকাদারের সামনে বসেই নির্মানাধীন রাস্তায় ঢালাই দেয়া কার্পেটিং হাত দিয়েই তুলে ফেলেন। পরবর্তীতে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঠিকাদার মাহফুজ খানকে ঘিরে রাখে। এ সময় ওই ঠিকাদার সড়ক নির্মানে অনিয়মের জন্য সহযোগী ঠিকাদার বাবুলকে দোষারোপ করে দায় এড়িয়ে পুনঃরায় নতুন করে সড়কটি কার্পেটিং করে দেয়ার কথা বলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। শনিবার বিকেলে ঠিকাদার মাহফুজ খান সড়কের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই সুধীর মেম্বারের বাড়ির সামনের ব্রীজ থেকে বাকাই ফিরোজার মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের কাজ পরিদর্শন করেন।
মহাদুর্নীতির মাধ্যমে সড়কটি রাতের আঁধারে কার্পেটিং ঢালাই দেয়ার একদিনের মধ্যেই পুরো কার্পেটিং উঠে যায়। এ ছাড়া সড়কের পাইলিং ধ্বসে পরে। পাইলিংয়ের দায়িত্বে থাকা গৌরনদীর আশোকাঠী গ্রামের ফরহাদ হোসেন নামের ঠিকাদারের এক প্রতিনিধি বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর তোপের মুখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ভূক্তভোগি এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, দায়সারাভাবে সড়ক পূনঃনির্মানের আশ্বাস দিয়েই রেহাই পেতে চায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদার মাহফুজ খানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দুদক কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর থেকে রাজিহার হয়ে গৌরনদীর ঘোষেরহাট পর্যন্ত বরিশাল অংশে ৩০কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি কালভার্টসহ ১৮ফুট প্রশস্তের ১২ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক নির্মানের কাজ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সড়ক বিভাগের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট শামসুল হকের উপস্থিতিতে ওই সড়কে নিন্মমানের কার্পেটিং করার একদিনের মধ্যেই পুরো কার্পেটিং উঠে যায়। এ নিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পরে আত্মগোপন করেন ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট শামসুল হক। পরবর্তীতে কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী।