নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নলকূপ সচল করার জন্যে প্রধান শিক্ষকের নিকট লিখিত আবেদন করেছে ঐ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা জান্নাত অহনা(৫)।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের বালিচান্দা আলাউদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নলকূপটি দীর্ঘধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পানির চাহিদা পূরণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই প্রচন্ড গরমে প্রতিবেশীর বাড়ীতে গিয়ে পানির চাহিদা মিঠাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হচ্ছে শিশুরা। প্রতিবেশীর নলকূপে ১৮০জন শিক্ষার্থীর পানির চাহিদা সংকুলান না হওয়ায় প্রথম শ্রেণীর খুদে শিক্ষার্থী সাবিহা জান্নাত অহনা(৫) কৌতুহলী হয়ে ঐ প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষকের নিকট ১৮মে মঙ্গলবার একটি আবদনপত্র দাখিল করে। আবেদনপত্রটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাফিনা আক্তার গ্রহণ করেন। আবেদনটির সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ বারী প্রতিবেদককে বলেন,আমি প্রথম শ্রেণির শিশু অহনা’র একটি আবেদন পেয়েছি। দ্রুত সময়ে বিদ্যালয়ের অকেজো টিউবওয়েলটি মেরামত করার চেষ্টা করবো। তার বাবার ফোনের মাধ্যমে ঐ বিদ্যালয়ের মেধাবী খুদে শিক্ষার্থী সাবিহা জান্নাত অহনা’র নিকট জানতে চাইলে সে বলে আমার ক্লাস রোল-১ আমি প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাই। বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় আমার পায়ে অনেক পেক/কাঁদা লাগে,আমি কাঁদা ধুঁইতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাই প্রতিদিন। আমার খুব খারাপ লাগে স্যার,আরেক জনের বাড়িতে গিয়ে কয়দিন হাত,পা ধুঁয়া ও পানি খাওয়া যায়। আমি স্যারের কাছে চিঠি লেখছি,কল তারা তারি ঠিক করে দেওয়ার জন্য। শিশুটির বাবা সিরাজুল ইসলাম সজিম বলেন, সাবিহা জান্নাত অহনার জানার কৌতূহল বেশী। সে বেশী প্রশ্ন করতে ভালবাসে। মাঝে মধ্যে আমি তাঁর উত্তর দিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগী। সে স্কুলে নলকূপের চিঠি লিখে দিয়ে আসছে তা আমার জানা ছিলনা পরে সে আমাকে চিঠির বিষয় বলেছে এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। সে কøাসের ফাষ্ট গার্ল ও মেধায় বুদ্ধিতে অনেক দূর এগিয়ে যেতে সকলের দোয়া প্রত্যাশা করছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তাহের ভূইয়া’র নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের টিউবওয়েলটি নষ্ট অবস্থায় আছে কিনা খবর নিচ্ছি নষ্ট থাকলে অবশ্যই পানি সমস্যার সমাধান করা হবে।