কক্সবাজারের রামুতে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুতে হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত: ১৬ জন। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন ও হাতির আক্রমণে মারা গেছেন ১ জন। রবিবার সকালে ও শনিবার রাতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা এবং হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটে। জানা যায়-রামু পুরাতন আরাকান সড়কের থোয়াইঙ্গা কাটাস্থ পাইন বাগান এলাকায় রবিবার সকাল ৮টার দিকে ছারপোকা ও মিনি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়। এতে আহত হয়েছে আরো ১৬ জন। আহতদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতরা হলেন-রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ছোট জামছড়ি এলাকার মৃত হাকিম মিয়ার পুত্র নুরুল ইসলাম (৬৯) ও একই উপজেলার ফতেখাঁরকুলের শ্রীকুল এলাকার মৃত অছিয়র রহমানের পুত্র আবদুর রহমান (৫০)। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঘটনাস্থলে যাওয়া রামু থানার এসআই সৈয়দ সানাউল্লাহ জানান-রামু চৌমুহনী থেকে মরিচ্যামুখী ছারপোকা ও রামুমুখী মিনি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের তুলাবাগান এলাকায় কাঁঠাল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে প্রাণ আবুল বশর নামের এক ব্যক্তির। তিনি খুনিয়াপালং ২নং ওয়ার্ডের কায়দংপাহাড় এলাকার আবদুল জব্বারের পুত্র। শনিবার রাতে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার জানে আলম জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে একটি হাতির পাল লোকালয়ে হানা দেয়। কায়দংপাহাড়ে আসার পর হাতিগুলো গাছের কাঁঠাল খাচ্ছিল। কাঁঠাল রক্ষা করার জন্য হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালান আবুল বশর। এ সময় রাগান্বিত হয়ে একটি হাতি তাকে উল্টো ধাওয়া করে ধরে শুড় দিয়ে আছড়ায়। এতে এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন আবুল বশরকে। রামু থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।