বে-সরকারি মানবাধিকার, স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়নমুলক সংস্থা লাইট হাউস দেশের গ্রামীণ ও শহুরে দরিদ্র, প্রান্তিক ও উচ্চ ঝুঁকির জনগোষ্ঠী, যৌন সংখ্যালঘু, হিজরা, আদিবাসী এবং অন্যান্য পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থা উত্তরনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ঈশ্বরদী উপজেলা মিলনায়তনে আজ সোমবার দুপুরে লাইট হাউসের সেনসিটাইজেশন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহাম্মদ হোসেন ভুঁইয়া।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্্েরর প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার এফ এ আসমা খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ডাক্তার শফিকুল ইসলাম শামীম, ঈশ^রদী মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, প্রভাষক আতাউল হক নান্নু, ঈশ্বরদী থানার সেকেন্ড কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন ঈশ্বরদী শাখার সাধারন সম্পাদক সেলিম আহমেদ, মাওলানা ইমাম মেহেদি হাসান, সূর্যের হাঁসির ইনচার্জ রেজাউল করিম, মোন্তাজুর রহমান ও হাসিবুর রহমান হাক্কে মন্ডল। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন লাইট হাউস ডিআইসি ইনচার্জ সুমন আহমেদ।
বক্তারা বলেন, লাইট হাউজ সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে দির্ঘ দিন থেকে ঈশ্বরদীতে কাজ করছেন। এইচ আইভি প্রতিরোধে লাইট হাউস মূলত এমএসএম ও এমএসডব্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা, ওষুধ বিতরণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ঈশ্বরদীতে লাইট হাউস এসব মানুষদের নিয়ে কাজ না করলে হয়তো এত দিনে ঈশ্বরদীতে এইচ আইভি এইডসের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়তো।
বক্তারা আরও বলেন, ঈশ্বরদী প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে। ঈশ্বরদীতে একটি মেঘা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে একারণে বহিরাগত মানুষ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। এদেরকেও দেখভাল করতে হবে। লাইট হাউসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আরও বেশি সচেতন ও মনোযোগি হয়ে কাজ করতে হবে। ঈশ্বরদীতে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিআইসি চালু করতে হবে একই সাথে লাইট হাউসের জনবল বৃদ্ধি করতে হবে।