লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় গরুর গোবর দিয়ে রাস্তা বন্ধ করায় কয়েক শতাধিক পরিবারের চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখিন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ইঞ্চিনপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের পুত্র ছফিউল ইসলাম চলাচলের রাস্তায় গোবরের ভিড়ে দিয়ে জনগনের ভোগান্তি করছেন মর্মে অভিযোগে জানা গেছে। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল করিম বরাবরে জাহিদুল ইসলাম নামের একজন আবেদন করছেন।
এর আগেও আরো একবার খড়ের স্তুপ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিলে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই সময় সমস্যার সমাধান হয়। চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে স্থানীয়দের। এ ছাড়া গোবরের দুর্গন্ধে পরিবেশ বিনষ্ট ও মানুষজন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। কিন্তু সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় স্থানীয়দের ভোগান্তি আজোও নিরসন হয়নি। যে কারণে ওই গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবারের লোকজন দু-কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে অতিকষ্টে সরকারেরহাট, ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে যাতায়াত করছেন। ওই এলাকার শিশু শিক্ষার্থীরাও অতি কষ্টে বটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলাচল করছেন।
ইঞ্চিনপাড়া গ্রামের মনে আলীর পুত্র মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বিনা অজুহাতে বন্ধ করে দিয়েছে আজিজার রহমানের পুত্র ছফিউল ইসলাম ও তার লোকজন। প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ছফিউল ইসলামের ছোট ভাই বাবুল হোসেন বলেন, প্রতিবেশী মনে আলীর সীমানায় রাস্তার জমি রয়েছে। তারা রাস্তার জমি ছেড়ে না দেয়ায় আমাদের জমির অংশের রাস্তায় তারা গোবরের ভিড় দেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ছফিউল ইসলামকে বাড়ীতে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন বসুনিয়া বলেন, জনগনের চলাচলের রাস্তায় গোবরের ভিড়ে (স্তুপ) এটা অন্যায়মূলক কাজ হলেও নানা কারণে সমাধান সম্ভব হচ্ছে না।
জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বলেন, তিনি শারীরীকভাবে অসুস্থ থাকায় সরেজমিনে দেখতে পারেন নাই। তার পরেও তদন্ত করে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান।
জোংড়া ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, জনগনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এরকম একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করতে স্থানীয় ভুমি ইউনিয়ন কর্মকর্তাকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।