স্বামী প্রধান শিক্ষক তাই স্কুলে না এসেই বেতন নিচ্ছেন সহকারী শিক্ষিকা শিরোনামে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পালের নির্দেশে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, এইচএসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মনোয়ারা খাতুন দিনের পর দিন অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলন করছেন এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অনিয়মের বিষয়টি জানতে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল। আগামি দুএকদিনের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। উল্লেখ্য : গাংনীর এইচএসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মনোয়ারা খাতুনের স্বামী আসাদুজ্জামান প্রধান শিক্ষক হওয়ায় গত কয়েকবছর সে ঠিকমত স্কুলে আসতোনা। মাঝে মাঝে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করতো। ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার স্বামী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাইনা। এমনকি অনুপস্থিতির বিষয়টি সকলেই অবগত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে কেউ ব্যবস্থা নিতনা।