লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি দখলের জের ধরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে উভয় পক্ষের ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামে এ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আবদুল হাই (৬০) রশিদা বেগম (৩৫), সাইফুল (১৮),রবিউল (৩৩),আউয়াল (২৫), আবদুল মান্নাফ(৫০), আয়নাল হোসেন (৩৫), অপর পক্ষের নুর আমিন (৩০), মাসুদ রানা (২৮), এরশাদ আলম(৩০), সিরাজুল ইসলাম (২০)।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামে আবদুল হাই ও হবিবর রহমানের মধ্যে উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল। সোমবার দুপুরে আবদুল হাইয়ের বাড়ির সামনে থাকা জমি দখলে নিতে যায় হাবিবুর রহমান মাওলানা ও তার ভাড়াটে লোকজন। এতে বাঁধা দিতে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পাশে থাকা লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথের পাথর তুলে একে অপরপক্ষের প্রতি ঢিল ছোঁড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে গুরতর আহত আবদুল হাই, রবিউল ইসলাম, আউয়াল, এরশাদ ও সিরাজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সাইফুল জানান, তাদের দখলে থাকা জমি হবিবর রহমান ও তার ভাড়াটে লোকজন দখল নিতে এলে তারা বাঁধা প্রদান করে। এ সময় হবিবর রহমানের লোকজন তাদের উপর আক্রমণ চালায়। এতে আমার মা বা ভাই সবাই মেডিকেলে ভর্তি আছেন। এ সময় তারা আমাদের বাড়ি ভাংচুর করেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম হবিবর রহমান জানান, সংঘর্ষে আহত ৫ জনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক হবিবর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।