মেহেরপুরের গাংনীর এইচএসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমটির প্রধান গাংনী উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গাংনী উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন,এইচএসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রকাশ্য ও গোপনে করি। এ সময় শিক্ষক,শিক্ষার্থী,ম্যানিজিং কমিটি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় যায়। এছাড়াও অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন ও তার স্বামী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান সাংবাদিক ও তদন্ত কমিটির কাছে অনিয়মের অকপটে স্বীকার করেছে। আগামি রবিবার কিংবা সোমবারের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। অনিয়ম তদন্ত করতে কোন তদবির বা চাপ এসেছে কিনা জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন,ঘটনা তদন্তে সত্যতা পেয়েছি। কোন চাপের কাছেই প্রতিবেদন উল্টাবেনা। গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল বলেন, প্রতি¦েদন হাতে পাওয়ার পর এইচএসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলনের ঘটনায় এমপিও বন্ধের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে এইচএসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুনের সংবাদ প্রকাশ না করতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে তার স্বামী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান। সোমবার রাত ৯ টায় রামনগর আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুর রহমান লিখন মোবাইল ফোনের মাধ্যামে সাংবাদিকদের কাছে এ সংবাদ না লেখার জন্য অনুরোধ করেন। অনুরোধ রাখা সম্ভব না বলার পরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে হাবিবুর রহমান লিখন বলেন,তদন্ত প্রতিবেদনে কি হয় জানা আছে। তাহলে সুপারিশ করছেন কেন জানতে চাইলে কোন উত্তর না দিয়েই লাইন কেটে দেন। এঘটনার ঠিক আধাঘন্টার পর আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুর রহমান লিখন মোবাইল ফোনের মাধ্যামে সাংবাদিকদের কাছে এ সংবাদ না লেখার জন্য অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য : স্বামী প্রধান শিক্ষক তাই স্কুলে না এসেই বেতন নিচ্ছেন সহকারী শিক্ষিকা শিরোনামে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পালের নির্দেশে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনুপস্থিতির বিষয়টি সকলেই অবগত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে কেউ ব্যবস্থা নিতনা।