নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রানী বিশ্বাসকে জাল কাগজপত্রে নিয়োগ দেয়ার প্রতিবাদে ও বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের সামনে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন মঙ্গলহাটার আবদুল আহাদ মোল্যা, শাহাবুল ঠাকুর, সিকদার রেজাউল ও মল্লিকপুরের মাহবুবুর রহমান। বক্তারা বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের গাফিলতি ও যোগসাজশে জাল কাগজে শিপ্রা রানীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা তার (শিপ্রা) নিয়োগ বাতিলসহ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন শিপ্রা রানী বিশ্বাস। এর আগে তিনি লোহাগড়ার লাহুড়িয়া হাজী মোফাজ্জেল স্মরণী মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের হিন্দু ধর্মের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তবে মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়-সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ‘ইংরেজি’তে পারদর্শী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে শিপ্রা রানী অভিজ্ঞতা ও পেশাগত সনদসহ ছাড়পত্র নিজে তৈরি করে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী শিপ্রা রানীর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ফুঁসে ওঠেন।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক শিপ্রা রানী সাংবাদিকদের কাছে জাল সনদ তৈরির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ভুল স্বীকার করে গত মঙ্গলবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছি। মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মহম্মদ মোল্যা বলেন, জাল কাগজপত্রে চাকুরির ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি শিপ্রা রানীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি (শিপ্রা) প্রশিক্ষণের জন্য বর্তমানে যশোরে আছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাইফুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, প্রকৃত কাগজপত্র দেয়ার পর শিপ্রা রানীর এমপিওভুক্তির কাজ শুরু হবে। এক্ষেত্রে আগের স্কুল হাজী মোফাজ্জেল স্মরণী মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের সাথে অভিযুক্ত শিক্ষকের (শিপ্রা) সমন্বয় করে প্রকৃত কাগজপত্র সংযোজন করতে হবে।