সোনারগাঁয়ের সনমান্দী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মিথ্যা মামলা প্রতাহারের দাবীতে গতকাল দুপুরে বাংলাবাজারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার সর্বত্র আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্থাপনকৃত সকল প্রিপেইড মিটার সরিয়ে না নিলে এবং নতুন কোন প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হলে বৃহত্তম কর্মসূচীর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে মানববন্ধনে হুশিয়ারী দেয়া হয়। পল্লী বিদ্যুতের এই প্রিপেইড মিটারকে রাক্ষুসে আক্ষা দিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশে বাংলাবাজার সহ আশপাশের এলাকার রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী এলাকাবাসী জানায়, জনগনের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচিৎ প্রিপেইড মিটার বন্ধ করে দেওয়া। পূর্বে তাদের যে বিদ্যুৎ বিল আসতো প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পর তা বেড়ে দ্বিগুনেরও বেশী দাড়িয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ও ছোট বড় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যা আয় করি তার অর্ধেক যদি বিদ্যুৎ বিলই দিতে হয়, তাহলে স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমাদের জীবন ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পরবে। মানববন্ধনে বক্তরা আরোও বলেন, জনগণের স্বার্থে এ প্রি-পেইড মিটার দেয়া বন্ধ করতে হবে। প্রিপেইড মিটারে দ্বিগুণ বিল গুনতে হয় গ্রাহকদের। এছাড়াও বিভিন্ন চার্জের নামে অর্ধেক টাকা কেটে নেওয়া হয়। প্রতি বারই রিচার্জের পর এমনভাবে টাকা কেটে নেওয়া হয়। এ মিটার আমরা চাই না। তারপরও সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জোড় পূর্বক এ মিটার লাগাতে আসে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সনমান্দি চরলাল এলাকায় জোড়পূর্বক প্রি-পেইড মিটার লাগানো শুরু করে। এতে এলাকাবাসী সবাই একত্রিত হয়ে বাধাঁ প্রদান করে। এসময় পল্লী বিদ্যুতের লোকজন পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমাদের বাড়িতে মিটার লাগানো শুরু করে। এনিয়ে এলাকাবাসীর সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজনের কথা কাটাকাটি হয় এর জের ধরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বাংলাবাজার এলাকার ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ সাখায়াত নামের এক গ্রাহককে গ্রেপ্তার করে জেলা আদালতে প্রেরন করে। পল্লী বিদ্যুতের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় সনমান্দি বাসী তীব্র প্রতিবাদ এবং সাখোয়াতকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবীসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানায়। পল্লী বিদ্যুৎ অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে না নিলে এলাকাবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়াসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচীর হুশীয়ারী দেয়।