কোরআন ও শেষ রাসুল মুহম্মদ (সা.) এর আদর্শ পরিপন্থী কোনো কথা বলেননি দাবি করে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন হেজবুত তওহীদের শীর্ষ নেতা ও এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সীমাহীন অপপ্রচার, হত্যার হুমকি, হামলার উসকানি দেওয়া হচ্ছে। যারা এসব করছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে থেকে ডিআরইউ ভবনের নিচে দুজন, সিঁড়ির সামনে দুজন, ও সাগর-রুনি মিলনায়তনের গেটের বাইরে দুজন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। তাদের হাতে ছিল মেটাল ডিটেক্টর, প্রত্যেককে দু-তিন বার তল্লাশি করে ঢুকানো হয়, যা ডিআরইউ’র ইতিহাসে এবারই প্রথম।
সংবাদ সম্মেলনে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে, হামলার উসকানি ও ফতোয়া দিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর যদি বিচার না হয় তাহলে বাংলাদেশে আইন বলতে কিছু থাকবে না।’
তিনি বলেন, একটি শ্রেণি হেযবুত তওহীদের মতো মহান একটি আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীকে লেলিয়ে দিয়েছে, হত্যা করতে প্ররোচনা দিয়েছে। এ পর্যন্ত আমাদের চারজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে বহু বাড়িঘর ভস্মীভূত করেছে, লুটপাট ভাঙচুর চালিয়েছে, বহু সদস্যকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করেছে।
তিনি আরও বলেন, হেযবুত তওহীদ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আলোচনা অনুষ্ঠান প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করেছে। তবু একটি গোষ্ঠী আমাদের জঙ্গি সংগঠন, ইসলামবিদ্বেষী, মুরতাদ, কাফের, বাতিল, খ্রিষ্টান, গোমরাহ, ধর্ম অবমাননাকারী, কোরআন-হাদিসের অস্বীকারকারী হিসেবে ফতোয়া দিচ্ছে। আমাদের প্রকাশ্যে জবাইয়ের হুমকি দিচ্ছে। তাদের গ্রেফতারে আমি প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক নারীর সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ দৃশ্যের বিষয়টিকে অপপ্রচার দাবি করে তিনি বলেন, 'নারীর সঙ্গে যেই পুরুষের ছবি দেখানো হয়েছে, সেটা আমি না, সেটা একটা তামিল ভিডিও।'