রাজশাহীর মোহনপুরে গৃহবধূ আসমা বেগম (৪৫) ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে রাজশাহীর শেষ সীমানা উপজেলার কামারপাড়া এলাকা থেকে মূল আসামি আমজাদ হোসেন (৫০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যানুসারে রাতেই হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করেছে আসামি আমজাদ হোসেন। তিনি দমদমা হাটরা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে। নিহত গৃহবধূর ছেলে মাসুদ রানা ২২ জুন (শনিবার) বাদি হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যার মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার আসামি আমজাদ হোসেনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ঘটনার পরদিন হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ উপজেলার কেশরহাট থেকে রায়ঘাটি গ্রামের মৃত ভাদু মন্ডলের ছেলে শামছুদ্দিন (৫০), হারিদা গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫১) গ্রেপ্তার করে। ওই দুই আসামিকে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
হত্যার সাথে জড়িত মূলহোতা গ্রেপ্তারকৃত আসামি আমজাদ হোসেনের স্বীকারোক্তি তথ্যানুসারে মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, নিহত গৃহবধূর কাছ থেকে আসামি আমজাদ হোসেন প্রায় ২/৩ পূর্বে ২ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেয়। টাকার জন্য নিহত গৃহবধূ আসমা বেগম চাপ সৃষ্টি করেন। ওই ধারের টাকা নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিশ বৈঠকও হয়েছে। ঘটনার আগের দিন (শুক্রবার) নিহত গৃহবধূ আসমা বেগমের কাছে ধার নেয়া ২ লাখ টাকা পরিশোধ করা কথা ছিল আমজাদ হোসেনের। পুলিশের ধারণা ধারের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২১ জুন (শুক্রবার) রাতে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে উষায়ের হাটরা বিলের মধ্যে জনৈক শাহাদত হোসেনের শশার খেতে আসামি আমজাদ হোসেন ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে হত্যার করার পর পাশেই কাশ বনের ঝোপের মধ্যে মাটির নিচে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাঁসুয়া পুঁতে রাখে। নিহত গৃহবধূ আসমা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে উষারের হাটরা গ্রামে বাবা মফিজ উদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন।
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কলে মূল ঘটনা বের হয়ে আসবে।