ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি পুন:গঠন কেন্দ্র করে আয়োজিত সাংগঠনিক সভা দু’গ্রুপের বিশৃংখল পরিস্থিতির কারণে প- হয়ে গেছে। শনিবার উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে। সভা প-ের ঘটনা নিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একে অপরকে দায়ী করছেন।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ও পৌর বিএনপির কমিটি পুন:গঠন নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সংগঠনিক টিম মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। তারা বিবদমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরপেক্ষ ভ্যানু হিসেবে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের হল রুম ভাড়া নেয়। শনিবার সকালে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক সেলিমুছ সালামের সভাপতিত্বে সভা শুরুতেই সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ফলে সাংগঠনিক টিমের নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় সভা মুলতবি করে দেন।
এব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো: ইউনুছ জানান, সাংগঠনিক টিম নিয়মানুযায়ী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি পুন:গঠন কল্পে সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। কিন্তু সাবেক এমপি লায়ন হারুনুুর রশিদের লোকজন এসে সভায় বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লায়ন হারুন জানান, সাংগঠনিক সভায় দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ ডেলিগেট হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু তা না করে পছন্দমত লোকজনকে ডেলিগেট করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে নেতাকর্মীরা। দুর্দিনে দলের জন্য নিবেদিত ও মামলা হামলার শিকার হওয়া নেতকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করছে।
সাংগঠনিক টিম প্রধান সেলিমুছ সালাম জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার ফরিদগঞ্জে কমিটি পুন:গঠন নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিবদমান দুই গ্রুপের বিরোধের কারণে তা মুলতুবি করতে বাধ্য হই।