জনস্বার্থ উপেক্ষা করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমানো এবং জনদুর্ভোগের বাজেটের প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৮ দল অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) রোববারের সকাল ৬টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আধা বেলা হরতাল পালনে বাম গণতান্ত্রিক ৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সড়কে চলাচল করা যানবাহনে হরতালের সমর্থনে লিফলেট বিতরন করেছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক এ্যাড. রফিকুল ইসলাম অপু বলেন, সরকার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অযৌক্তিক। এর প্রতিবাদে ৭ জুলাই রোববার সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত হরতাল পালন করা হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পুর্ন অযৌক্তিক। যে কারণ দেখিয়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে, এটা কোনোভাবেই দেশের জনগন মেনে নিতে পারে না। পেট্রোবাংলা-তিতাস দুর্নীতিতে ডুবে আছে, সেদিকে সরকার নজর দিচ্ছে না। উল্টো জনগণকে শোষণের সর্বোচ্চ এ অবস্থা, এরই প্রতিবাদে রোববার ৭ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত হরতাল পালন করা হবে। এই হরতাল সফল করতে সকলের সহযোগীতার জন্যই তারা গোটা জেলায় হরতালের সমর্থনে লিফলেট বিতরন করছেন।
তিনি আরো বলেন, রোববার (৩০জুন) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। আবাসিক, বাণিজ্যিকসহ সব ধরণের গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। গড়ে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত ১ জুলাই থেকেই কার্যকর করা শুরু হয়েছে। যা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। রান্নাঘরে যাদের গ্যাসের চুলা একটি, তারা এতদিন মাসে বিল দিতেন ৭৫০ টাকা। এখন থেকে গ্যাস বিল বাবদ মাসে তাদের ব্যয় হবে ৯২৫ টাকা। খরচ বাড়ল ১৭৫ টাকা। যাদের বাসায় দুই চুলা, তারা এতদিন বিল দিতেন ৮০০ টাকা। এখন তাদের দিতে হবে ৯৭৫ টাকা। বাসাবাড়ির গ্যাসের পাশাপাশি যানবাহনে ব্যবহার করা সিএনজির (সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস) দামও বেড়েছে। সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটারে দাম বেড়েছে ৩ টাকা। ৪০ টাকার সিএনজি গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা।
তাদের দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে বিএনপি এই হরতালে সমর্থন জানিয়েছে। তাই হরতাল জোড়ালো ভাবেই পালন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো হলো, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ (ইউসিএল), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।