ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় নবম দিনের মতো স্বাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহন চলছে। আজ মাদ্রাসা সন্মুখের ওষুধ ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম ও ঘটনার দিন পরীক্ষা হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহন চলছে।সাক্ষ্যগ্রহন শেষে তাদের জেরা করবেন আসামি পক্ষের আইনজীবীগণ।গতকাল নুসরাতের ছোটভাই রাশেদুল হাসান রায়হানের সাক্ষ্যগ্রহন ও জেরা সম্পূর্ণ হয়।পরে আদালত সাক্ষ্যগ্রহনের জন্য পুনরায় আজকের দিনটি ধার্য করেন।
এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ ও আওয়ামী লীগ নেতা রহুল আমিন,কাউন্সিলর মাকসুদসহ অভিযুক্ত ১৬ আসামীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপরই সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।
গত ২৭ জুন এ মামলার ৯২ জন সাক্ষীদের মধ্যে প্রথমে নুসরাতের বড় ভাই ও বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানের স্বাক্ষগ্রহণ শুরু হয়। এরপর নুসরাতের সহপাঠি নিশাত,ফুর্তি,অধ্যক্ষের সহকারী নুরুল আমিন ও নৈশ প্রহরী মোস্তফার,কেরোসিন তেল বিক্রেতা জসিম উদ্দিন,বোরকা দোকানদার লিটন ও তার কর্মচারী লোকমান, নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল সহ মোট ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহন ও জেরা সম্পূর্ণ হয়।
এদিকে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষের কক্ষে নুসরাতকে যৌন হয়রানীর ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তারের দায়েরকৃত অপর আরেকটি মামলার চার্জশীট আজ গ্রহন করেছে একই আদালত।পরে আদালত আগামি ১৭ জুলাই মামলাটির চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন।
গত ৩ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন পিবিআই।দাখিলকৃত ২৭১ পৃষ্টার চার্জশীটে ডাক্তার ও পুলিশ সহ মোট ২৯ সাক্ষী রয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।