জেলার মুলাদী উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবিদুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন রেখে কাঙ্খিত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও রহস্যজনকভাবে প্রভাষক থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ লাভের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটিও অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ওই অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবরে স্থানীয়দের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (কলেজ-৪) নাজমুল হক খান স্বাক্ষরিত একপত্রে তদন্ত রির্পোটের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আবিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসকের কাছে পত্র প্রেরণ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানা গেছে, আবিদুর রহমান ১৯৯৯ সালের ৩১ জুলাই প্রথমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে ওই কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে একই বছরের ৭ আগস্ট পূর্ণরায় তাকে (আবিদুর রহমান) কলেজের সাংগঠনিক সভায় পৌরনীতি বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এর কিছুদিন পর রহস্যজনকভাবে আবিদুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর কৌশলে আবিদুর রহমান অধ্যক্ষ বনে চলে যান। এজন্য তিনি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি কিংবা নিয়োগ বোর্ড এবং ফলাফলের সিট পর্যন্ত শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিল করেননি। অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পর তার (আবিদুর রহমান) বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে বিষয় ভিত্তিক ১১জন প্রভাষক নিয়োগ করে বিপুল পরিমান অর্থ বাণিজ্য, কলেজ উন্নয়নের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত চাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নগদ অর্থ, জেলা ও উপজেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ, কলেজের আয়ের বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা অধ্যক্ষর ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।