লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সড়কে পড়ে থাকা বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে কাজল হোসেন (১২) নামের এক প্রতিবন্ধী শিশুর মুত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রৌসন আলী বেপারী বাড়ির সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাজল একই এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে ও সে জন্ম থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলো।
স্থানীয়রা জানায়, তিন মাস আগ থেকে রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করে লাইন দিয়া হয় ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রৌসন আলী বেপারী বাড়ির সামনের ঘুটিতে। শুক্রবার সকালে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বিদ্যুতের ওই ছেঁড়া তারে জড়িয়ে প্রতিবন্ধী কাজলের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর জন্য নিহতের স্বজনরা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলার কারন হিসেবে দায়ী করেছেন।
এ ব্যাপারে চরমোহনা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সফিক পাঠান জানান, রায়পুর পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্তব্যে অবহেলার কারণেই সড়কে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কাজল মারা যায়। তাদের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এলাকাবাসী তাকে জানান, এ ছেঁড়া তাদের বিষয়টি তাৎক্ষনিক রাখালিয়া পল্লীবিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করা হয়। এর পর তার বিদ্যুুৎ বন্দসহ তার না সরানোর কারনে এ দুর্ঘটনা হয়।
রায়পুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির (ডিজিএম) শেখ মোনোয়ার মোর্শেদ জানান,, সকালে প্রচুর বাতাসের কারণে সড়কে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে থাকা তার ছিঁড়ে যায়। ওই তারে জড়িয়ে এক শিশু মারা গেছে। বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে ছিঁড়া তাঁরের বিষয় কেউ তাকে কোন অভিযোগ করেনি। বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কর্তব্যে অবহেলার কারনে হয়েছে অভিযোগটি সঠিক নয়। হয়ে থাকলে ক্ষতিয়ে দেখা দেখা হবে।
রায়পুর থানার ওসি তোতা মিয়া জানান, সকালে রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের রৌসন আলী বেপারী বাড়ির সামনে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে কাজল হোসেন (১২) নামের এক প্রতিবন্ধী শিশুর মুত্যু হয়। বিষয়টি তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান থেকে শুনেছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। করলে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।