যশোরের কেশবপুরে গর্ভবতী দ্বিতীয় স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করায় অভিযোগে ইউপি মেম্বার জহির রায়হানকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান মোড়লের সাথে স্ত্রী তানিয়া খাতুনের টাকা পয়সা নিয়ে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে স্বামী জহির রায়হান তাকে বিষপানে আত্মহত্যায় উদ্বুদ্ধ করে। রবিবার গভীর রাতে তানিয়া বিষপান করলে সকাল ৬ টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রদীপ্ত চক্রবর্তী তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করেন। এ সময় তানিয়াকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কেদারপুর নামকস্থানে পৌছালে তার মৃত্যু হয়। এ সময় জহির রায়হান লাশ নিজ বাড়িতে না নিয়ে সরাসরি উপজেলার কায়েমখোলা গ্রামে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যায়। ওই সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসী জহির রায়হানকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিঠ করে এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও ইন্সপেক্টরের (তদন্ত) নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার এবং জহির রায়হানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহত তানিয়ার ভাই হাফিজুর রহমান রবিবার সকালে বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় তার বোনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করায় জহির রায়হানের নামে একটি মামলা দায়ের করেন যার নম্বর ১০।
মামলার বাদি নিহত তানিয়ার ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, দুই বছর আগে মঙ্গলকোট গ্রামের আবদুল আজিজ মোড়লের ছেলে জহির রায়হানের সাথে তার বোন তানিয়ার বিয়ে হয়। এর আগে জহির রায়হানের আরও একটি স্ত্রী ও সন্তান আছে আমরা তা জানতাম না। বিয়ের পর থেকে জহির রায়হান টাকা দাবি করে আমার বোনকে নির্যাতন করতো। তানিয়া ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা বলে সে জানায়।
ইতিপূর্বে ৪ জুলাই কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়নের ডহুরী ওয়ার্ডের মেম্বার ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানের স্ত্রী আত্মহত্যা করলে তার লাশ পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও জহির রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।